সকালের কোমল রোদ গায়ে মেখে রাস্তায় হাঁটছিলাম। পথিমধ্যে গাছতলায় দেখা পেলাম তাদের। দেখলাম, তারা সকালের ক্লাসটা এই গাছতলায়ই সারছেন!
মেয়েটার মধ্যে অবশ্য পর্দার কোনো কমতি দেখলাম না। হাতে মোজা, পা”য়ে মোজা এমনকি মুখও ঢাকা। শুধু চোখ দুটো খোলা। তবুও তিনি “প্রেম” করতে এই গাছতলায় এসেছেন!
ইদানিং এমন “পর্দানশীল” মেয়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে। পার্কে, রেস্তোরায়, রেললাইনের চিপাচাপায় প্রায়শই দেখা মিলছে তাদের। তারা পবিত্র পর্দাকে আকাম-কুকামের ডাল হিসেবে ব্যাবহার করছেন। ফলে সত্যিকারার্থেই পর্দা করে এমন মেয়েদের প্রতি সমাজে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।
রাস্তার অলিগলিতে এই সমস্ত কথিত পর্দানশীল মেয়েদেরকে যখন বিভিন্ন গর্হিত কাজে লিপ্ত থাকতে দেখি, তখন নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে। এই সমস্ত মেয়েদের কাছে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করে যে তোমরা প্রেম করবে, করো, আমাদের “উদারবাদী” রাষ্ট্র তোমাদেরকে সে অধিকারটুকু দিয়েছে। তোমরা চাইলে তোমাদের জীবন-যৌবন সম্পূর্ণ “বিনামূল্যে” বা ফুচকা, আইসক্রিমের বিনিময়ে বখাটে ছেলেদের তরে বিলিয়ে দিতে পারো! যদি তোমরা এতে গর্বিত বোধ কর! কিন্তু প্রশ্ন হলো- পবিত্র পর্দাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কেনো?
আর পর্দা করলে এটাকে আকাম-কুকামের ডাল হিসেবে নয়, করতে হবে আকাম-কুকাম থেকে বাঁচার ডাল হিসেবে।
জুনায়েদ আহমেদ : সাংবাদিক
Some text
ক্যাটাগরি: বিবিধ
[sharethis-inline-buttons]