করোনা আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে সরাইলের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার দোকান ও মার্কেট গুলো বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে সরাইল।
শুধু কাঁচাবাজার, ওষুধ ও নিত্য পণ্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট। রাস্তায় দু’একটি করে রিকশা,অটোরিকশা দেখা গেলেও যাত্রী পাচ্ছেন না চালকরা। এ অবস্থায় কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ জন।
উপজেলায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট, যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। আর এ নির্দেশনা কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছেন। সদর উপজেলার বড্ডাপাড়া গ্রামের রিকশা চালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগে মাইক্রোবাসের চাপায় এক পা চলে গেছে। বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। রিকশা ভাড়া চালাই। এক পা আমার নেই। অন্য কোন কাজও করতে পারিনা। ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। আয় রোজগার করতে না পারলে পরিবারের খাবার জুটবে কেমনে বুঝতেছি না।
আরেক অটোরিকশা চালক ফজল হোসেন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। প্রতিদিন অটো চালিয়ে চাল-ডাল কিনে খাই। গাড়ি চালানো নিষেধ থাকলেও উপায় নাই। অটো নিয়ে এসেছি কিন্তু কোনো প্যাসেঞ্জার নাই। সব ফাঁকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।
অরুয়াইল গ্রামের মাসুম মিয়া (৪৭) ৩০ বছর যাবৎ কুলির কাজ করছে। তার কষ্টের কথা শুনে এক ভদ্রলোক তাকে একটি ভ্যান গাড়ি কিনে দিয়েছে। এ ভ্যানটি দিয়ে মালামাল টেনে রোজগার করে সে সংসার চালাত। আজ তার এক টাকাও রোজগার হয়নি। এ চিন্তায় সে দিশেহারা। চাল-ডাল না নিলে চুলায় হাঁড়ি বসবে না। গত ৭ দিন যাবৎ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুলি মাসুম মিয়ার পরিবারটির। এক কেজি চাল নিয়ে ৬ সদস্যের সবাই একমুঠো করে খায়।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]