বৃহস্পতিবার বিকাল ৪:২০, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ইছামতি নদীর ওপর কালভার্ট: রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ

৯৩০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

এনপিএস রিপোর্ট: ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার ছোট চরচরিয়া গ্রাম এবং মুন্সীগঞ্জ-এর শ্রীনগর উপজেলাধীন শিবরামপুর গ্রাম এলাকায় ইছামতি নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণের অর্থ বরাদ্ধ হলেও ব্রীজ নির্মাণ না করে অন্যত্র কালভার্ট নির্মাণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে ঠিকাদার ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ফান্ড থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্রীজ নির্মানের অর্থ বরাদ্ধ হলে নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন ছোট চরচরিয়া গ্রামে ব্রীজ নির্মাণ না করে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের অংশে পুরো কালভার্ট নিমাণ কাজ করে। এতে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার কর্মকর্তারা কোনো প্রতিবাদ করেননি। এ বিষয়ে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগর উপজেলার বাড়িখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আঃ জলিলের বাড়ীর সামনে এবং খলিল মেম্বারের বাড়ীর পাশে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, অর্থ বরাদ্দ হলো ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা এলাকায়। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে ব্রীজ নির্মাণ না করে একটি মহল বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করে। একদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে ইছামতি নদীর নাব্যতা কমানোর মাধ্যমে নদীর মাঝে চর সৃষ্টি করে চরের জায়গা দখল করে তার থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে লাভবান হওয়া যাবে, যা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে নদী সুরক্ষা কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিআইডব্লিওটিএ-এর কর্মকর্তারাসহ সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন এবং এলাকা পরিদর্শন করে ব্রীজ নামের কালভার্টটি অপসারন করার সিদ্ধান্ত জানালে অশুভ চক্র তা বাস্তবায়ন করেছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া একটি নির্দেশনামূলক আদেশ দেয়া হয়েছে যে ব্রীজের নামে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে কিনা, তা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে কি না? এর ফলে নদীতে বালি জমাট হবে কি না? নদীর নাব্যতা হারাবে কি না? এই সকল অবস্থা সৃষ্টি হলে এই ব্রীজটি এখান থেকে অপসারণ করতে হবে। কিন্তু আগলা ইউপি চেয়ারম্যান, কন্টাক্টর ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান না দেখিয়ে অবজ্ঞা প্রদর্শন করেই চলছেন।

এ ব্যাপারে নদী রক্ষা কমিশনের কর্মকর্তারা এ প্রকল্প পরিদর্শন করে বিস্মিত হয়েছেন এবং তারা বলেছেন, প্রকল্পের নামে এভাবে মানুষ সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করতে ব্যস্ত থাকে তা ভাবতেও কষ্ট হয়। এলাকাবাসীর ভাষ্য, নদীর প্রস্থ যেখানে কয়েকশ ফুটের উপরে, সেখানে কালভার্ট তৈরি করেছে ৩৯ ফুট মাত্র- এইটা কোন্ যুক্তিতে? এ কালভাটের প্রস্থ দিয়েছে ১৪ ফুট আর উচ্চতা দিয়েছে ২০ ফুট। এর নীচ দিয়ে সাধারণ কোনো নৌকা যেতে পারবে না। এলাকাবাসীর দাবী, নদী সুরক্ষার মাধ্যমে পরিবেশসম্মত ব্রীজ নির্মাণ, মানবসৃষ্ট বিপর্যয় ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে জনগণকে চলাচলের ব্যবস্থা করাসহ নদী সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্তারাসহ রাষ্ট্র ও সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি