ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবার খাস জমি বন্দোবস্ত পেলেন। ফলে তাদের পরিবারে এখন ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। ভূমিহীন এসব পরিবারের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। জানা গেছে, সরাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানকার বিভিন্ন এলাকায় বছরের পর বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সরকারি খাস জমি চিহ্নিত করে হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে একদিকে যেমন হতদরিদ্র পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁইসহ চাষাবাদের জন্য জমি পাবে, অন্যদিকে সরকার পাবে এসব জমির খাজনা। এ লক্ষ্যে সরাইল উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে অন্তত ৫০টিরও বেশি ভূমিহীন পরিবারকে খাস জায়গা বন্দোবস্ত দিয়েছেন। এছাড়াও আরও হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে প্রশাসনের একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এ ইউনিয়নে আট জন হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারকে খাস জমি ইতোমধ্যে বন্দোবস্ত পাওয়া তিন জনকে তাদের জায়গার দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের দখল বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।কালীকচ্ছ গ্রামের ভূমিহীন আলমগীর মিয়া ও রত্না বেগম গত তিন দিন আগে তাদের বন্দোবস্তের ৮ শতক জায়গার দখল বুঝে নেন। কালীকচ্ছ মৌজার ১ নং খতিয়ানের বিএস দাগ নং-৮৭৯৪, শ্রেণী নাল।
প্রতিক্রিয়ায় আলমগীর মিয়া জানান, তিনি ফুটপাতে ফল বিক্রি করে ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে প্রায় ২১ বছর যাবৎ পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যের জায়গায় বসবাস করে আসছেন। নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেন না তিনি।
ভূমিহীন রত্না বেগম জানান, ১৮/২০ বছর যাবৎ অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিলাম। এখন আমাদের সন্তানদের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ার কবির আহমেদ ও কালীকচ্ছ ইউপি ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]