ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চেয়ে এখন দালাল বেশি, এ দাবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালের ক্যাম্পাস থাকে দালাল চক্রের দখলে। এসব দালাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে গড়ে উঠা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের হয়ে কাজ করে।
তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভনে তাদের পছন্দের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যায় উন্নত চিকিৎসার কথা বলে। বিনিময়ে তারা রোগী প্রতি কমিশন পায়। দালালরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও বর্হিঃ বিভাগে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে। রোগী দেখলেই তারা এগিয়ে যায়।
চিকিৎসক কোন রোগীর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে উপস্থিত দালালরা এ রোগী নিয়ে শুরু করে টানাটানি। এতে বিপাকে পড়েন রোগী ও স্বজনরা। কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এ হাসপাতালে এখন রোগীর চেয়ে দালালের সংখ্যা বেশি। তাদের কর্মকাণ্ডে আগত রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোঃ আনাস ইবনে মালেক জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন একটি দালাল চক্র আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। তাদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ধরণের অপতৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নোমান মিয়া জানান, এখানে কে রোগী কে দালাল বুঝা মুশকিল। তারা এখানে এসে রোগী সেজে বর্হিঃ বিভাগ থেকে টিকেট সংগ্রহ করে। পরে আগত রোগীদের মাঝে মিশে এ কাজটি করে। মাঝে মধ্যে চ্যালেঞ্জ করলে তারা নিজেদের রোগী পরিচয় দেন। আমরা শীঘ্রই এসব দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]