দেশের ২য় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাটে এবার ব্যাপক জমিতে আলুর চাষ করেছেন কৃষকরা। ভাল ফলন আর অধিক লাভের আশায় বুক বেধে কোমড় বেধে আলুর জমিতে পরিচর্যার কাজ করছে তারা। ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে আলুতে লেইট ব্লাইট রোগের সম্ভাবনা থাকায় আলু ক্ষেতে দফায় দফায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করছেন কৃষক। প্রতিকুল অবস্থা কাটিয়ে ভালো ফলন ও সঠিক মূল্য পেলে চলতি মৌসুমে উৎপাদন খরচ বাদে বিঘা প্রতি ২০/২৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তারা।
চলতি মৌসুমে জেলায় আলুর চাষ হয়েছে ৩৮ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রাম দিঘীরপাড়ার রানা হোসেন, কালাই উপজেলার বানিহারা গ্রামের তাইজুল ইসলাম, সড়াইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম, ক্ষেতলাল উপজেলার হাটশহর গ্রামের ধোদা মিয়া, আক্কেলপুর উপজেলার রাজকান্দা গ্রামের সোহাগ হোসেন, পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনসহ অনেক কৃষকই জানান, বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার খানিকটা বেশি। আলু চাষে তাদের বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১৫/১৬ হাজার টাকা। এবার আলুর গাছও হয়েছে ভাল। তবে ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে আলুতে লেইট ব্লাইট রোগের সম্ভবনা থাকায় ক্ষেতের অতিরিক্ত পরিচর্যা করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ভাল ফলন ও ন্যায্য বাজার মূল্য না পেলে লোকশানের আশঙ্কাও করছেন তারা। কৃষি উপকরণের দাম কমানোসহ আলু চাষে সব ধরনের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে আলুতে লেইট ব্লাইট রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]