কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আজ দুপুরে সমাবেশ শুরুর আগেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ২ টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে দলের নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। সমাবেশ পরিচালনা করছেন বিএনপি প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।
এর আগে দুপুর ১২টার পর থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ হয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন তারা। ধানের শীষের রেপ্লিকা, ফেস্টুন, খালেদা জিয়ার পোস্টারসহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-পোস্টার হাতে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
সমাবেশের কারণে নয়া পল্টনের সামনের সড়কের একপাশ বন্ধ হয়ে যায়। অপর পাশের যান চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে। যানচলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সমাবেশ মঞ্চ থেকে দলের দায়িত্বশীল নেতারা বারবার কর্মী সমর্থকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছেন সমাবেশস্থলের আশপাশে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান ড. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবীব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ নেতারা।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]