নিরীহ কাউকে মাদক কারবারি সাজানোর চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হাঁটছি। এতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার ঠিকানা কারাগার।
৯০-এর দশকের শেষদিকে জঙ্গিবাদ চরমভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা পেয়েছি। ইয়াবাও বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। দোষ স্বীকার করে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। আর যারা এখনও বাইরে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।’
ডিআইজি আরও বলেন, বাস্তুচ্যুত করে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার। সেই মিয়ানমার থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইয়াবা আনছে এদেশীয় ইয়াবা কারবারিরা। এটি নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতো। মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সে রয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। আজকের আত্মসমর্পণ তারই একটি অংশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন -কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি নুরুল হুদা ও মাওলানা মুফতি কিফায়েত উল্লাহ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতি
অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারীদের পক্ষে মোহাম্মদ তৈয়ব বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘ইয়াবা অঢেল টাকা দেয়, কিন্তু শান্তি দেয় না। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়ানোর পর স্বজনদের নিয়ে একটি ঈদও করতে পারিনি’ এর আগে।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]