কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক হামলার প্রতিবাদ ও ধর্মীয় কারণে গত প্রায় একমাস ধরে সারা বাংলাদেশসহ সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাদিয়ানী বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল। একের পর এক শহর থেকে গ্রাম, পৌরসভা থেকে ইউনিয়ন- সব জায়গায় এ বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ অনুষ্ঠিত হয় জেলার সবগুলো ইউনিয়নে।
তাদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এদারায়ে তালিমিয়্যাহ ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আহবানে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা ও আগামী ২৭শ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সদর, নাসিরনগর, সরাইল,বিজয়নগর, আখাউড়া, আশুগঞ্জ,নবীনগর, কসবা,বাঞ্চারামপুর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি মিছিলে হাজার হাজার নবী প্রেমিক তাওহিদী জনতা অংশগ্রহণ করে কাদিয়ানী দের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবী জানান। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশগুলোতে বক্তাগণ বলেন,কুরআন হাদিসের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত কাদিয়ানীরা কাফের। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার আন্দোলন শুরু হয়েছে তা যতদিন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে আন্দোলন চলতেই থাকবে। এই আন্দোলন থেকে এখন আর পিছু হটবার সুযোগ নেই।
বক্তাগণ আরও বলেন, কাদিয়ানীরা শুধু বিশ্বনবী মোহাম্মদ( সাঃ)এর ই দুশমন নয় বরং এরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্বের দুশমন। এরা বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানদের মতো বসবাস করবে,তারা অমুসলিম হয়ে মুসলমান পরিচয়ে বাংলাদেশে বসবাস করার কোনো অধিকার নেই।
মিছিল শেষে প্রত্যেক ইউনিয়নে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ-র কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় ঐতিহাসিক খতমে নবুওয়ত মহা সম্মেলন সফল করার জন্য সকলকে প্রস্তুতি গ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।”
আবির হোসাইন : স্টাফ রিপোর্টার
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]