ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক প্রবাসীর ঘরে হঠাৎ একটি গায়েবী মাজার এর সন্ধান মেলে। এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আশ-পাশের শত শত মানুষ এসে সেই কবরে মোমবাতি,আগরবাতি জ্বালাতে শুরু করে। অনেকে বিভিন্ন মানতের নামে টাকা-পয়সা দিতে থাকে। কেউ কেউ সেই কবরে সিজদা দেয়। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামে এ আলোচিত ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সুমন মুন্সি বলেন, শাখাইতি গ্রামের প্রবাসী অহেদ মিয়ার স্ত্রী আনিছা বেগম (৪৭) বসত ঘরের এক কোনায় মাটি খুঁড়ে এ কবর তৈরি করেছিল। আশুগঞ্জ উপজেলার তাজপুর এলাকার আবদুল হকের ছেলে ইসমাইল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ‘পীর বাবা’ সাঁজিয়ে এ কবরের পাশে বসিয়েছিল তারা। এলাকার এক ঘরজামাই হুজুর সেঁজে এ কবরের অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে আগতদের জানাতো। আর প্রবাসীর স্ত্রী আনিছা বেগম এ অলৌকিক কবরের ‘খাদিম মাতা’ হিসেবে পরিচয় দিতো। ইউপি সদস্য আরও বলেন, আসলে তারা গোপনে ২/৩ দিন আগেই ঘরের ভিতরে এ কবর নির্মাণ করে এটিকে গায়েবি বা অলৌকিক কবর হিসেবে প্রচার করতে থাকে। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিক এই কবরের বিষয়টি প্রকাশ ও প্রচার করে তারা। পুলিশ গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় এই আলোচিত কবর গুঁড়িয়ে দেয়।
সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, আসলে সেটি অলৌকিক কোনো কবর ছিল না। একটি চিহ্নিত প্রতারক চক্র গোপনে সেই ঘরে এ কবর তৈরির পর তা অলৌকিক বা গায়েবি কবর হিসেবে এলাকায় প্রচার শুরু করে, শুধু অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেই কথিত কবর গুঁড়িতে দিয়েছি এবং এর রহস্য উন্মোচন করেছি। ওসি সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, শাখাইতি গ্রামের আনিছা বেগম নামে এক নারী কিছু লোকের কুপরামর্শে তার বসত ঘরের মাঝখানে সেই কবর গোপনে তৈরি করে। পরে সেই নারী ও তার অনুসারীরা এলাকায় প্রচার করে এই অলৌকিক কবরের ঘটনাটি। এলাকার সহজ-সরল নারী ও পুরুষেরা সেই কবর দেখতে গিয়ে মোমবাতি, আগরবাতি ও নগদ টাকা-পয়সা দেওয়া শুরু করে।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]