গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. মোবারক হোসেন (৩০) নামের এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাসপাতালের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্বজনদের অভিযোগ ভুল চিকিৎসায় তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত মোবারক কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর গ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকাল পৌনে ৯টার দিকে বুকের ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসেন মোবারক। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশফিকুস সালেহীন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। ঘণ্টাখানেক পর রোগীর বুকের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় তাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সময় বেড থেকে পড়ে যান এবং রক্ত বমি করেন।সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরামর্শ দেন। দুপুরে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রোগীর পরিবারে জানাজানির পরপরই রোগী পক্ষের একদল লোক হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় হাসপাতালের ফুলের টব, থাই গ্লাস, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এতে হাসপাতালের দুই কর্মচারী আহত হন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সঞ্জয় দত্ত বলেন, হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দোষীদের কয়েকজন শনাক্ত করেছি। বাকিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। থানায় মামলা হবে।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]