জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে ইরাম হোসেন (৫) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করার ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- একই এলাকার প্রতিবেশি ট্রাক ড্রাইভার রেজাউল ইসলাম (৪৫) ও তার ছেলে রাজু আহম্মেদ (১২)। নিহত ইরাম জয়পুরহাট পৌরসভার কর্মচারী ও চকশ্যাম গ্রামের এনামুল হোসেনের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, রাজু নামে এক কিশোর বৃহষ্পতিবার বিকেলে খেলারত শিশু ইরামকে গান শোনানোর কথা বলে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাকে চড়-থাপ্পর মারে। এরই এক পর্যায়ে শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে বস্তার মধ্যে খাটের নীচে রেখে দেয়। পরে তার বাবা-মা বাড়িতে আসলে তাদেরকে ঘটনাটি খুলে বললে ভোর রাতে রাজুর বাবা রেজাউল বস্তাবন্দী মরদেহটি বাঁশঝাড়ে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ সুপার সালাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আলামত সংগ্রহের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা আঁচ করতে পেয়ে ইরামদের প্রতিবেশি রেজাউল ও তার ছেলে রাজু আহম্মেদকে আটকের নির্দেশ দেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে রাজু বলাৎকারের চেষ্টা ও হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে রাজুর বাড়ি থেকে ইরামের স্যান্ডেল, রক্তমাখা জামা ও একটি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যপারে ইরামের বাবা এনামুল হোসেন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইরাম খেলতে বাইরে গিয়ে আর বাড়ি না ফিরলে এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পাওয়ায় রাতে এলাকায় মাইকিং ও থানায় একটি জিডি করে ইরাম এর বাবা এনামুল। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে চকশ্যাম গ্রামের ভিতরের একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশু ইরামের বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শফিউল বারী রাসেল : জয়পুরহাট থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]