সকালের কনকনে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহে হতদরিদ্র মানুষের অসহায়ত্বকে প্রকট করে তুলে। সমাজের সচ্ছল মানুষের ঘরে বছর পরিক্রমায় শীতকাল ঋতু হিসেবে আনন্দ ও খুশির বার্তাবহ হলেও দেশের হতদরিদ্র মানুষের জনজীবনে শীত নৈরাশ্য ও বেদনার বার্তাবাহক মাত্র। যাদের মাথা গোঁজার ঠাই নেই, তাদের দুরবস্থা যে সর্বাধিক, সে কথা বলাই বাহুল্য। বিত্তবানরা শীতবস্ত্র ব্যবহার করে পরিত্রান পেলেও দরিদ্র লোকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হাড়কাঁপানো শীতে যে বিপুল জনগোষ্ঠি বর্ণনাতীত দুঃখ-কষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো ধর্মপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। হতদরিদ্র মানুষের জন্য যেমন কষ্টের তেমনি বিত্তবানদের জন্য অনেককিছু পাওয়ারও ঋতু। চেয়ে দেখবেন, হতদরিদ্র মানুষগুলো হাতপেতে আপনাকে ডাকছে আর অপেক্ষা করছে কখন আপনি একটা শীতবস্ত্র তাকে দান করছেন। আমরা যদি গরিবদের প্রতি সাহায্য ও মমতার হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলে তারাও শীতের কষ্ট কাটিয়ে উঠতে পারবে। আমরা সবাই তখন শীতের আনন্দ-উপহারগুলো ভাগ করে নিতে পারব।
সুতরাং প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষেরই পারস্পরিক মানবতাবোধ ও উদার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। মানবতার সেবায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা মানবিক দায়িত্ব। নিঃস্বার্থভাবে শীতার্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করাই মানবতার সেবা। তাই আমি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে দেশের সর্বস্তরের ধণাঢ্য, বিত্ত্ববান, শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানাচ্ছি, আপনারা চলতি শীত মৌসুমে শীতার্ত গরীব অসহায় মানুষকে যার যার সামর্থ অনুযায়ী পাড়া মহল্লায় নতুন বা পুরাতন কিছু শীতবস্ত্র বিতরনে এগিয়ে আসুন।
শীতবস্ত্র বিতরণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা একান্ত জরুরী। শীতবস্ত্র ও গরম কাপড়ের অভাবে যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে শীতার্ত মানুষের দিন কাটছে এ অবস্থার অবসান ঘটাতে চাই সরকারী-বেসরকারী কার্যকর উদ্যোগ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]