একটা কথা প্রচলিত আছে, “আলেমরা ইংরেজি শিখাকে হারাম ফতোয়া দিয়েছে।” এ অভিযোগের কারণ এবং বাস্তবতা আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। তবে অভিযোগকে আমলে নিয়ে আলেম সমাজ বিশেষ করে আলিয়া অঙ্গনে ইংরেজি শেখা আরম্ভ হয় বিশেষ গুরুত্বের সাথে। ধাপে ধাপে এবং উচ্চ শিক্ষার আবশ্যকতায় বর্তমানে ইংরেজি মাদ্রাসার ফাজিল তথা বিএ পর্যন্ত আবশ্যক বিষয় হিসেবে চর্চিত হচ্ছে।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা কিছু ব্যাকরণগত জ্ঞান এবং পড়তে ও লিখতে পারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর থেকে একটু অগ্রসর হয়ে কেউ যদি ভালোভাবে ইংরেজি রপ্ত করে এবং কোচিং, প্রাইভেট করাতে সক্ষম হয় তাহলে তার জন্য এটাই পার্থিব উন্নতির মাধ্যম হয়ে উঠে। প্রিয়জনরা ও মাদ্রাসায় পড়েও ইংরেজি ভালো জানে এ পরিচয় দিয়ে আনন্দ বোধ করে।
ইংরেজি শেখা এবং এ ভাষার দক্ষতা অর্জন বর্তমান আধুনিক সময়ে অবশ্যই আবশ্যিক বিষয়। এটা প্রয়োজন। কিন্তু একজন মাদ্রাসা ছাত্রের গর্বের বিষয় হবে আরবি ভাষা এবং কোরআন হাদিসে পারদর্শিতা। কারণ, এটা হচ্ছে মূল। যার মূল ঠিক থাকে তার এক্সট্রা অর্ডিনারির গুরুত্ব আছে।
অতএব, আমি বলবো আমাদের আবার মূলে ফিরে আসা উচিত। প্রতিটি মাদ্রাসা ছাত্রের আরবি ভাষায় নূন্যতম যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আরবি মাধ্যমে কোরআন হাদিস বুঝতে হবে। তারপর তার প্রচার প্রসার এবং বিশ্বের অন্যান্য জ্ঞান অর্জনে শুধু ইংরেজি কেন, প্রয়োজনে চাইনিজ, হিন্দি ইত্যাদি ভাষাও শিখতে হবে।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]