এটি মূলত রোজনামচা, ২২/০৯/১৪ইং এর
একটা দেয়ালিকা বের করেছিলাম আমরা। মাদ্রাসার নামে। দেয়ালিকার দৃশ্যে সুন্দর সুন্দর গল্প, কবিতা, কৌতুক অংকিত হয়। কিন্তু পেছনে জন্ম নেয় বেদনার গল্প। তার কিছু ছাপ পড়ে এ রোজনামচায়। এমন গল্প যাদের আছে তাদের প্রতি সমবেদনা এবং কাজে উৎসাহ প্রদান এর উদ্দেশ্যে শেয়ার করলাম।)
* মেরাজ শরিফ। প্রিন্সিপাল হুজুরের ছেলে। আমাদের জুনিয়র। দেয়ালিকার জন্য কাজ করছে খুব। লেখা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি পড়ে শুনাতে গেলো ক্লাসে ক্লাসে। উপরের এক ক্লাসে বিস্তারিত শুনে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করল, দেয়ালিকা কী? উল্লেখ্য, এটা আমাদের প্রথম দেয়ালিকা নয়।
* শুনেছি, অফিস-আদালতের বারান্দায় ঘুরে মানুষের জুতা ক্ষয় হয়। কিন্তু আমার জুতা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে লেখা সংগ্রহে লেখকদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে। তার একটি চিত্র দেখুন:
মাগরিবের পর এক বড় ভাইয়ের কাছে গেলাম লেখা সংগ্রহ করতে। তিনি আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন; মনে হয় যেন মাত্রই শুনেছেন। অথচ এ নিয়ে তিন বার যাওয়া শেষ তার কাছে। পরে জমা দিয়েছেন। তবে নিজের মেধাকে কষ্ট দেন নাই।
* মাদ্রাসায় ছাত্র সংসদ আছে। জিএস অনাবাসিক। কথা বললাম দেয়ালিকার ব্যাপারে। তিনি নিজেকে উপরের তলায় উঠিয়ে নিলেন। আমরা পায়ে ধরে নামালে নামবেন। শেষ পর্যন্ত ওনাকে ছাড়াই কাজ সমাপ্ত হলো
*আয়োজকদের কেউই আর্ট পারিনা। এক জুনিয়রকে রাজি করানো হলো আর্টের জন্য। সে যা তামাশা দেখালো- বিস্তারিত বললে – সিনিয়র হিসেবে আমাদের মানসম্মান থাকবে না।
- সবিশেষ ভাবলাম, ছোট্ট একটা দেয়ালিকা বের করতে এতো ঝামেলা পোহাতে হলো; মাসিক, দৈনিক করতে কত ঝামেলা! সাথে একটা প্রশ্নের ও উত্তর পেলাম। কেন মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ঘটনামূলক কাজ না করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে ঘুমিয়ে পড়েন।
Some text
ক্যাটাগরি: স্মৃতিচারণ
[sharethis-inline-buttons]