১৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ঈ. রোজ রবিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ হোটেল মেট্রো মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে “শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে অালোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী অান্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সন্মানিত সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি আমিরুল ইসলাম সাহেব দাঃবাঃ এর সভাপতিত্বে হাফেজ জসিম উদ্দিনের কোরআন তিলাওয়াত ও কবি ও গীতিকার জনাব তারা মিয়ার জাগরণি সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মুফতি মঞ্জুরুল ইসলাম সাহেব, মাসা ইউনিভার্সিটির নব নির্বাচিত ভিপি হাফেজ বশির বিন জাফর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জনাব মুজাহিদুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক জনাব রুবেল আহমেদ, সহ অর্থ সম্পাদক জনাব মোঃ মোস্তফা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রবাসি কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ, সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি আমিরুল ইসলাম সাহেব দাঃবাঃ তার বক্তব্যে বলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ শুধু গতানুগতিক কোন সংগঠন নয়, এই সংগঠন ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে ইসলামী বিধিমালা কে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধকর, প্রতিটি শাখার বিশ্লেষণ দিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ তৃণমূল থেকে মানুষের সকল চাহিদার মূল্যায়ন করতে ক্রমান্বয়ে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এই লক্ষ্যে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪হাজার ২০০ ইউনিয়নে, ৩৮ হাজার ওয়ার্ড এ হাতপাখা মার্কায় নির্বাচন করবে – ইনশাহ আল্লাহ, তাই এখন থেকেই সবাই নিজনিজ এলাকায় দাওয়াতি কার্য্যক্রম চালাতে হবে, এবং সকলে নিজনিজ পরিবার কে হাতপাখা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে, মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্রনেতা, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুফতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশের শিক্ষা প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করতে হবে এবং তা যুগোপযোগী করতে হবে, তিনি মালয়েশিয়ার দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন এই দেশের সকল কে বেসিক ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক, ৫১% মালয়েশিয়ান সবাই ইমামতির যোগ্যতা রাখে,সবাই ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত যাঁর কারণে এই দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কিছুই বলার সাহস পায় না, এবং ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার দরুন সবাই সচেষ্ট ও সক্রিয়, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মাসউদ-উর-রাহমান তাঁর অালোচনায় গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রি ও অাইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি তার বক্তব্যে গাম্বিয়ার অাইনমন্ত্রী অাবুবাকার মারি তামবাদুকে মুসলিমদের সিপাহসালার অাখ্যায়িত করে বলেন , তিনি শুধু মায়ানমারকেই নয়, বিশ্বমানবতাকে অাজ তিনি অান্তর্জাতিক অাদালতে দাড়ঁ করাতে সক্ষম হয়েছে ৷ ২০ লক্ষ জনপদের দরিদ্র পশ্চিম অাফ্রিকার দরিদ্র এই ছোট্র দেশের সাহসীকতাকে তিনি সাধুবাদ জানিয়ে অাগামীতে সারাবিশ্বের মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে অাসার অাহ্বান জানান ৷ তিনি বলেন স্বাধীনতার সুফল পেতে পৃথিবীর কোন দেশ কেই ৪৯ বছর অপেক্ষা করতে হয় নাই একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া, কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এই পর্যন্ত যারাই এসেছেন কেউই ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, যাঁর কারণে বান্দার হক্ব ও আল্লাহর হক্ব কোনটাই আদায় সম্ভব হয় নাই, মাসা ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্রনেতা, সদ্য নির্বাচিত ভিপি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর শাখার সভাপতি হাফেজ বশির ইবনে জাফর তার বিজয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের শোকর আদায় করে বলেন মালয়েশিয়ার মত একটা উন্নত রাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে এসে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে যেমনি আনন্দিত হয়েছি ঠিক তেমনি এটাও চিন্তা করতে হচ্ছে আমার জন্মভূমিতে কি এমন হওয়াটা সম্ভব কিনা। কারণ আমার দেশের ক্ষমতায় থাকা সরকারদলীয় নেতারা দেশকে নিজেদের একরকম পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন, তাই অন্যদেরকে ন্যায্য অধিকারও তারা দিতে চান না, এটা তাদের মূল্যবোধের অভাবের প্রমাণ বহন করে।
অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ও মাসা ইউনিভার্সিটির নব নির্বাচিত ভিপি কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়, সবশেষে ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এর সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশ্ববাসির শান্তি ও কামিয়াবি কামনা করে মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]