আমার দৈনন্দিন চিন্তা-ভাবনা ও কাজকর্মগুলো কী? আমার চিন্তা-ভাবনা ও কাজকর্মগুলো মূলত একান্তই ব্যক্তিগত জৈবিক-মানসিক চাহিদানির্ভর। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রার্থনা-প্রাতঃরাশ সেরে কোনোদিন কাচাবাজারে যাওয়া, তারপর শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাওয়া, কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করা ইত্যাদি। আমি বর্তমানে কোনো চাকরি করি না, বেকার। ইদানিং জনাব জাকির মাহদিন নামের একজন চিন্তাশীল ব্যক্তির প্রতিষ্ঠিত দেশ দর্শন পত্রিকার অফিসে গিয়ে কম্পিউটারে বাংলা টাইপ তথা কম্পিউটার শিখতে চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বাসায় অথবা কর্মস্থলে গিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ করি। এরপর জোহরের নামাজ আদায়। এরপর বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণশেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম।
দুপুরের বিশ্রামশেষে বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে আসরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করি। অথবা টি.এ রোডের ‘মক্কা ইলিকট্রিকে’ যাই। নতুবা মসজিদ রোডের ‘মদিনা লাইব্রেরিতে’ গিয়ে বসি। এরমধ্যে মাগরিবের নামাজের সময় হলে মসজিদে গিয়ে নমাজ আদায় করে উপরোক্ত দোকানের যে কোনো একটিতে গিয়ে আবার বসি। দেখতে দেখতে এশার আজান হয়ে যায়। কোনোদিন থানা মসজিদে, কোনোদিন হাসপাতাল মসজিদে, কোনোদিন মৌলভি পাড়া মসজিদে, আবার কখনো বর্ডার বাজার মসজিদে, জামে মসজিদে (বড় মসজিদে) বা মধ্যপাড়া বাসস্ট্যান্ড মসজিদে এশার জামাত আদায়শেষে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে সেই চিরাচরিত ঘুম। ভোরে পরমকরুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে উপরোক্ত নিয়মেই দিন অতিবাহিত হয়।
এই হচ্ছে বিগত ০১ আগস্ট ২০১৮ থেকে আমার বর্তমান দিনলিপি। এর আগে আমার দিনলিপি অন্যরকম ছিল। চলতে চলতে বা ছুটতে ছুটতে জীবনের এই প্রান্তে অথবা শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। জ্ঞানী-গুণীগণ বলেন, ‘চক্ষু মুদিয়া জীবনের হিসাব মিলাও’। হিসাব করার মত কোনো সংখ্যা তো আমার মনে পড়ছে না। আমার লেখাটা বেশি হতাশাব্যঞ্জক হয়ে যাচ্ছে! হতাশায় তো কিছুই নেই। হতাশা মানেই অন্ধকার। হতাশা মানুষকে কিছুই দেয় না। কম-বেশি ভাল যা কিছুই আছে, তা শুধু আশার মধ্যেই আছে। পবিত্র কোরআনে পরম করুনাময় আল্লাহ, বিশ্বাসীগণকে নিরাশ-হতাশ হতে নিষেধ করেছেন। চূড়ান্ত আশার বাণী শুনিয়েছেন।
মহান আল্লাহপাকের এই আশার বাণীই এখন আমার একমাত্র ভরসা। শিশুকালে আমরা কান্দিপাড়া আনন্দ বাবুর বাড়ির পেছনের দিকে, বর্তমান সরকারী পি.পি এডভোকেট ইউছুফ সাহেবের বাড়ির সঙ্গের বাড়িতে থাকতাম। বাড়িটি ছিল আমার বড় খালাম্মার বাড়ি। এর পূর্বদিকেই ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার সেই বিখ্যাত তিতাস নদী। শিশুকালে এই নদীতেই কত গোসল করেছি, সাঁতার কেটেছি, এর হিসেব নেই।
২৮ আগস্ট, ২০১৮
চলবে..
সোলায়মান মেহারী : সাবেক ব্যবসায়ী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসজিদ রোডের সোলমানিয়া লাইব্রেরির স্বত্তাধিকারী (লাইব্রেরিটি এখন বন্ধ )
Some text
ক্যাটাগরি: আত্মজীবনী, সাহিত্য, স্মৃতিচারণ
[sharethis-inline-buttons]
ধন্যবাদ জনাব সোলায়মান মেহারী