আমিরুল ও জামিরুল, দুই ভাই। সেদিনও শুক্রবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌরমার্কেটে প্রতিদিনের মত খাবার টাকা জোগাড় করার জন্য বোতল কুড়াচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন খাবার টাকা জোগাড় করার জন্য দুই জনকেই রাস্তার পাশে বোতল কুড়াতে হয়। প্রতিদিন বোতল কুড়িয়ে তারা একশ কি দুইশ টাকার মত পায়। তা দিয়েই কোনোমতে দুই ভাইয়ের পেটের ক্ষুধা মিটায়। বাসায় তাদের আম্মু আছে। আর আব্বু থাকলেও না থাকার মত। তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না।
‘তোমার আম্মু কী করে’- এ প্রশ্নের জবাবে সে জানায়, তার আম্মু অন্যের বাসায় কাজ করে। তার আম্মু সারাদিন কাজ শেষে যেটুকু খাবার বাসায় নিয়ে আসেন তা দিয়ে তিনজনের হয় না। এই কারণে খাবারের টাকা জোগাড় করার জন্য তাদের রাস্তায় বোতল কুড়াতে হয়। দুই ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা তোমাদের মত আরো অনেক শিশু আছে যারা প্রতিদির স্কুলে যায়। তোমাদের কি তাদের মত করে স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে হয়?
প্রতিদিন বোতল কুড়িয়ে তারা একশ কি দুইশ টাকার মত পায়। তা দিয়েই কোনোমতে দুই ভাইয়ের পেটের ক্ষুধা মিটায়। বাসায় তাদের আম্মু আছে। আর আব্বু থাকলেও না থাকার মত। তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না।
তারা জানায়, তাদেরও অন্য সবার মত পড়ালেখা করা ও স্কুলে যাবার স্বপ্ন আছে। কিন্তু তারা যদি বোতল না কুড়িয়ে স্কুলে যায়, তাহলে যে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে! তারা আরো জানায়, পড়ালেখা করার জন্য কোনো ব্যক্তি যদি তাদের সাহায্য করেন তাহলে তারা পড়াশোনা করতে চায়।
আবির হোসাইন জসিম : স্টাফ রিপোর্টার
Some text
[sharethis-inline-buttons]