পরিষদের আড্ডাটা আজ আর নেই।
দিন শেষে সবে এসে আড্ডা হতো বেশ।
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালি দিন গুলা আজ আর নেই।
শৈশবের স্মৃতি গুলো পিড়া দেয় মোদের, সময় নামের অজুহাতে এক হতে পারি না সবে।
শরীফ সে তো আজ জীবিকার টানে চলে গেছে বিদেশ নামের দূর প্রবাসে।
পরিষদটা আজও আছে, শেষ বিকেলে লোকের আড্ডাস্থায়ী হয়ে।
শুধু সময়ের অভাবে এক হতে পারি না চার জনে।
সুমন ছেলেটা তো ব্যস্ত হয়ে গেছে প্রেমিকা নিয়ে সংসারে।
আজও দিন শেষে বিকেল গড়িয়ে আসে, মিলে পরিষদে চিনা অচিনা কতো মুখ।
পরিষদে মিলিত সব অচিনার ভিড়ে, মন খুঁজে সেই চির চিনা চার মুখ।
ভাগ্যের সেই নির্মম পরিহাসে সোহানটাও আজ চলে গেছে গ্রাম ছেড়ে যানজট সাদা কালোর শহরে।
পরিষদে আজও বিকেল হয়, বসে তরুণের মেলা।
পরিষদটাও হয়তো আমাদের মতো স্বার্থপর হয়ে গ্রহণ করে নতুন তরুণের মেলা।
নাকি আমাদের মতো সেও মাঝরাতে ফুঁপিয়ে কাঁদে শৈশবের স্মৃতি মনে করে।
আরমানটা তো ভাগ্যের জুড়ে পড়াশুনা চালিয়ে নিচ্ছে।
কত শত স্মৃতিচারণ রয়ে গেছে সে পরিষদে।
আজ আর দিন শেষে মিলিনা এসে পরিষদে।
মাঝরাতে স্মৃতিচারণ মনে করে আজও বলি বন্ধুতরা ভালো থাক।
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]