শীতের সকাল। সবেমাত্র সূর্য উঠেছে। কোমল মিষ্টি আলো ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। এমন স্নিগ্ধ পবিত্র সকালে একটি সেলুন [যেখানে চুলকাটা হয়] থেকে ভেসে আসছে শিশুকণ্ঠের মন কেমনকরা ও অর্থবহ গজল- নামাজকে বলো না কাজ আছে, কাজকে বলো আমার নামাজ আছে~ শুক্রবার সকালে [২২ নভেম্বর] ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্টেশনরোডের একটি সেলুন থেকে এমনি শ্রুতিমধুর ও নামাজের দিকে আহবানকারী একটি গজল বক্সে বাজাতে শোনা যায়।
এ সময় দেখা যায়, সেলুনে চুল কাটতে আসা কয়েকজন খুব মনোযোগ দিয়ে গজলটি শোনছেন। কেউ কেউ আবার মৃদুস্বরে গাইছেনও। আর একজন নরসুন্দর গজল শোনতে শোনতে কেচ্ কেচ্ শব্দে অনবরত চুল কাটছেন।
এক সময় শুধু গজল শোনা যেতো মাহফিল অথবা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে। এখন সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের রুচি-অভিরুচি। এখন অনেকেই বাজনাসুদ্ধ অস্লীল গান আর শোনতে চায় না। তাই মানুষ এখন বাজনাবিহীন গজলের দিকেই ঝুঁকছে।
এ বিষয়ে কথা হয় একজন নরসুন্দরের সাথে। তিনি বলেন, এক তো গুনাহ্, আর বাজনাওয়ালা গান শোনতে শোনতে এহন আর ভাল্লাগে না। এহন গজলই শুনি। গজল শোনতেই ভাল্লাগে। গজলের মধ্যে আল্লাহ্ ও রাসূল নিয়া অনেক সুন্দর সুন্দর কথা তাহে। যা শোনতে ভালয় লাগে। তাছাড়া গান বাজায়লে অনেক কাস্টমারই রাগ হয়। গজল বাজায়লে কেউ কিছু কয় না। আরো মন দিয়া শোনে।
জুনায়েদ আহমেদ; সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]