ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (সতর্ক সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।’ জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদদৌলা খান জানিয়েছেন, চালকের ভুলেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পরপরই রেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির সদস্যরা উদ্ধার কাজে যোগ দেন।তূর্ণা নিশীথার যাত্রী কাজী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে তূর্ণা নিশীথা এসে ধাক্কা দেয়। আমরা তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। শব্দ পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি।’
উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ট্রেনটি লাইন ক্রস করার সময় দ্রুতগতিতে এসে তূর্ণা ধাক্কা দেয়। আমি সামনের বগিতে থাকায় আহত হইনি। পেছনের তিনটি বগির যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়েছেন।’ মন্দবাগের স্থানীয় বাসিন্দা সালাম বলেন, ‘গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে মরদেহ। পরে এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।’
এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল করিম, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। রেলমন্ত্রীও ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুটি সরিয়ে লাইন আবার চলাচলের উপযোগী করতে লাকসাম ও আখাউড়া থেকে দু’টি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইতিমধে্যেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।
আবির হোসাইন জসিম : স্টাফ রিপোর্টার
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]