শুক্রবার দুপুর ২:৩৬, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ইতালির আনন্দের শহর “মিলানো মারিত্তিমা”

৯৪৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ইতালীর রিমিনিতে একটি বিশাল সমুদ্র সৈকতের নাম মিলানো মারিত্তিমা। এ যেন এক গ্রীষ্মকালীন উৎসব নগরী। ইতালি, জার্মান, ফ্রান্স- সব ইউরোপিয়ান দেশের নাগরিকরাই এখানে আসেন গ্রীষ্মকালীন আনন্দ করার জন্য। এর জন্য ইতালিয়ান সরকার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে রেখেছে।

বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে এখানে বসে নানা রঙের মেলা, ডিজে পার্টি ও নানা রকমের দোকানপাট। রাতে সারারাত ধরে চলে রেস্টুরেন্ট, বার, খাবারের দোকানগুলো। এখানে ইউরোপের নানা দেশ থেকে যুবক-যুবতী পরিবারবর্গ সবাই মিলে আসে তাদের গৃষ্মকালীন অবকাশ জীবন কাটাতে। তারাও নিজেদের মধ্যে অনেক আনন্দ উপভোগ করে। এতে বাদ পড়ে না আমাদের বাংলাদেশিরাও।

বাংলাদেশের লোকজন, লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম থেকে ওরা ঘুরতে আসে। এর সাথে তাল মিলিয়ে আছে আমাদের বাংলাদেশীদের ব্যবসা বাণিজ্য। আমাদের বাংলাদেশিরা হোটেল, খাবারের রেস্টুরেন্ট ও গিফট শপ এ ধরনের ব্যবসা করে থাকেন। আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটির নতুন প্রজন্মের শিশুদের সঙ্গেও আলাপ হয়। তারা আছেন বেশ আনন্দ উল্লাসে।

বাংলা ভালোই বলতে পারে, কিন্তু লিখতে পারে না। কেউ কেউ আবার লন্ডনের সেটেল্ড হয়ে গিয়েছে। তাদের বাচ্চারা ইংরেজি বেশ ভালো বলে এবং ইসলামিক শিক্ষা ও ভালো আছে। খুবই ভালো লাগলো বিদেশের মাটিতে দেশীয় আগামী প্রজন্মের শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। তারা অত্যন্ত বিনয়ী নম্র ও বন্ধু সুলভ। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা হলেন ইয়াসিন, আরাফাত, জুবেল,জান্নাত খাদিজা। তারা অত্যন্ত ভদ্রতার সহিত কথা বলে।

আরো আনন্দে মন ভরে ওঠে যখন পরিচিত হয় সবাই একই সাথে আসসালামালাইকুম বলে উঠে। তখন মনে হচ্ছিল এজন্য প্রবাসের বুকে ছোট্ট একটি বাংলাদেশ। মিলানো মারিত্তিমা  এখানে আছে বিশাল এক সমুদ্র সৈকত যেখানে সারা ইউরোপ থেকে মানুষ আসে সূর্য স্নান করতে আসে। দিনের বেলায় মনে হয় ঘুমন্ত নগরী বিকেল গড়াতেই মানুষের আনাগোনা। সন্ধ্যা হতেই দেখা যায় নানা জায়গায় নানারকম পসরা নিয়ে বসছে বিক্রির জন্য। এ যেন মেলা বসেছে।কেউ নাচানাচি করছে। কেউবা গান গাচ্ছে আপন ভুবনে। কেউবা সাইকেলিং করছি।

নানা রকম আনন্দ-ফুর্তি মধ্যে জমতে থাকে সারারাত অব্দি। এভাবে সারারাত চলে আনন্দের মেলা একটা জিনিস লক্ষণীয় কেউ কখনো আইন ভঙ্গ করে না মানুষ মানুষকে সম্মান করে যার যার মতো করে সবাই আনন্দ করে। এই সি বিচে রয়েছে প্রায় বারোটার মত এন্ট্রি। এইসব এন্ট্রি দিয়ে পর্যটকরা সি বিচে গিয়ে গোসল করে। সূর্যস্নান করে, কেউ কারো দিকে ফিরেও তাকায় না আরো রয়েছে ফ্রী বাসট্যুর। যার যার মত পরিশেষে আনন্দ উপভোগ করে। ছুটি শেষে যার যার আবাসস্থলে চলে যায়।

লেখক : এইচ এম জাকারিয়া জাকির

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি