গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজ পাড়া জামে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে আসা এক ভদ্র, মেধাবী, নামাজি স্কুলছাত্রের (শিশু) সাথে কথা হয়। তার নাম আবরার সিদ্দিক। বাসা কলেজ পাড়ায়। সে কাউতলি রেসিডেয়ান্সিয়াল স্কুলে পড়ে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কি না? সে জানায়, হ্যা, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। তোমার বন্ধুরাও কি নামাজ পড়ে? না, বন্ধুরা নামাজ পড়ে না। একজন পড়তো, সেও এখন আর পড়ে না।
আচ্ছা, তোমার বন্ধুরা তো নামাজ পড়ে না, তাহলে তুমি কেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছো? এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, মরার পরে আযাব থেকে বাঁচার জন্য। নামাজ না পড়লে মরার পর আযাব হবে- এটা তুমি কীভাবে বা কার মাধ্যমে জানলে? আমি অবসরে ইসলামি বই পড়ি। বই থেকেই জেনেছি, নামাজ না পড়ার শাস্তি এবং পড়ার লাভ সম্পর্কে। এটাও জেনেছি, একটা জান্নাত নাকি দশ দুনিয়ার চাইতেও বড়! তাই দুনিয়ায় অল্প কয়দিন নামাজ না পড়ে আমি বিশাল জান্নাত হারাতে চায় না!
তোমার আব্বা-আম্মা নামাজ পড়ে? হ্যাঁ, পড়ে। আচ্ছা তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও? আমি বইয়ে পড়েছি নবী (স.) দেশকে খুব ভালোবাসতেন। আমিও বড় হয়ে দেশকে ভালোবেসে সৎভাবে দেশের জন্য কাজ করতে চাই। এবং ঘুষ-দুর্নীতির সংস্কৃতি বন্ধ করতে চাই।
কিন্তু ঘুষ ছাড়া তুমি তো কোনো ভালো চাকরি পাবে না। তখন কী করবে? যদি এমন হয়, তাহলে এ চাকরিই করবো না। অন্যকিছু করবো। তারপরও সৎপথে থাকবে? হ্যা, তারপরও আমি সৎপথে থাকবো এবং ঘুষ দিয়ে আমি কোনো চাকরি করবো না।
জুনায়েদ আহমেদ : শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]