ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল ১০ কিলোমিটার সড়কের চুন্টা-অরুয়াইল অংশের ৫ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে বেহাল অবস্থা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ, সুরকি,ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো গর্তের পানিতে গাড়ির চাকা ডুবে যাচ্ছে। এই সড়কের ২-৩টি সেতু বেহাল দশায় যে কোনো সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরাইল-অরুয়াইল সড়কটির ওপর অরুয়াইল ইউনিয়ন, পাকশিমুল ইউনিয়ন, চুন্টা ইউনিয়ন ও চাতলপার ইউনিনের কিছু অংশের এক লাখ মানুষের লোকজন নির্ভরশীল। এলাকার লোকজন এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছেন। সর্বোপরি এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান-পাটসহ অন্যান্য পণ্য বাজারজাত করতে এই সড়ক দিয়েই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করতে হয়।
এছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই। ফলে কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য পণ্য বাজারজাত করতে মারাত্মক অসুবিধায় পড়ছে। সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে যে, যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই চলাচল করা অসম্ভব। কাদার গর্তে পিছলে পড়ে প্রায়ই পথচারীরা হাত-পা ভাঙ্গাসহ মারাত্মক আঘাত পেয়ে থাকেন।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলা এবং উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হচ্ছে এই সড়কটি। এর ফলে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। ভাঙা এই সড়কে প্রতিদিন আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তিনি আরো বলেন, সড়কটি সংস্কার করা হলে এই এলাকার কৃষকেরা যেমন তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন, তেমনি স্থানীয়দের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও ইতিবাচক পরির্বতনে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সড়কটি খুব দ্রæত বাস্তবায়ন করা হোক।
লেখক ও সাংবাদিক এম মনসুর আলী বলেন,এই রাস্তা দিয়ে সিএনজিতে একবার চলাচল করলে ৫০ টাকার ঔষধ খেতে হয়। সারারাত শরীর ব্যাথা করে। ঝাঁকুনির কারণে সিএনজি অটোরিক্সার আঘাত লেগে যাত্রীর মাথা ফেটে যায়। সড়কটিতে চলতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে মানুষের।
অরুয়াইল ক্লাস্টারের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফ ইকবাল বলেন, সরাইল-অরুয়াইল বেহাল সড়কে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় রোগীদের। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যেমন বাড়তি সময় অপচয় হচ্ছে। তেমনি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সে যে সব রোগী আসেন তাদের যন্ত্রণা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে।
বেহাল সড়কে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় অন্তঃসত্ত¦া নারীদের। কারণ, জরুরি মুহূর্তে অথবা গুরুতর অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে বা কোন সিএনজি অটোরিক্সা করে তাদের হাসপাতালে আনতে হয়।
সিএনজি অটোরিক্সা আক্তার হোসেন বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক’শ যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি শিগগিরই সংস্কার করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]