শুক্রবার সকালে (৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে মানুষের জটলা দেখা যায়। এতে কৌতূহলি হয়ে প্রতিবেদক এগিয়ে যান জটলার কারণ জানতে। গিয়ে দেখেন- এক ভণ্ড তান্ত্রিক বিভিন্ন পশুপাখির অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পসরা সাজিয়ে তাবিজ বিক্রি করছে। ক্রেতার হাতে দেয়ার আগে তান্ত্রিকের পাশে থাকা একটা পশুর মরা হাতে তাবিজটাকে তিনবার লাগান। তারপর নিজ কপালে লাগিয়ে চুমু খান। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তান্ত্রিক জানান, তাবিজ কার্যকর হওয়ার পিছনে (পশুর মরা হাত) এর অবদান আছে! এভাবেই প্রকাশ্যে শিরিকি তাবিজের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই ভণ্ড তান্ত্রিক।
জটলায় থাকা এক হুযুরকে তান্ত্রিক তাবিজ নেয়ার কথা বলেন, এর প্রতি উত্তরে হুযুর বলেন, আপনার তাবিজ নিলে রোগতো ভালো হবে-ই না উল্টো আরো বাড়বে! বাড়বে কেনো? জানতে চান তান্ত্রিক। হুযুর উত্তর দেয়ার আগেই পাশে থাকা একজন বলে উঠেন, এটা যদি আপনি যানতেন তাহলে হয়তো এই
ব্যবসা করতেন না। কারণ এটা একটা স্পষ্ট শিরিক। পরে তান্ত্রিক মাথা দোলানো ছাড়া আরকোনো মন্তব্য করে নি। এবিষয়ে তান্ত্রিকের সাথে প্রতিবেদক কথা বলতে চায়লে- আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে কেটে পড়ে তান্ত্রিক।
অনেককে দেখা যায়, বিশ্বাসের সাথে তাবিজ কিনছেন। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য। প্রতিটা তাবিজের মূল্য চল্লিশ টাকা বলে জানা যায়।
এবিষয়ে জটলায় উপস্থিত থাকা সচেতন মানুষ আবির জানায়, এভাবে প্রকাশ্যে জঘন্য শিরিকি তাবিজের ব্যবসা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কিছু বলছে না। যা অবাক হওয়ার মত। সাধারণ মানুষকে এই শিরিকি কর্মাকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে এই ভণ্ড তান্ত্রিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলেও মনে করেন তিনি।
তান্ত্রিকের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তবে জানা যায়, দুই’মাস ধরে প্রতি শুক্রবারে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বসে সকাল থেকে জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত শিরিকি তাবিজ বিক্রি করেন তিনি ।
জুনায়েদ আহমেদ:: শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]