গ্রীষ্মের রোদ যেন দাবানল, ভোরের কুয়াশা যেন বরফের কুচি,বর্ষার বৃষ্টি যেন ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, যত শত প্রকৃতি যাই হোক থমকে দাড়ান না রিকক্সওয়া ভাইয়ের প্যাটেল চালানী।
দেখে কষ্ট হয়, খুব কষ্ট হয়,বৃদ্ধ লোকটি যখন গ্রীষ্মের দাবদাহে প্যাটেল মাড়িয়ে টাকা উপার্জনে আহামরি।
সেই বা কি করবে কপালে যা আছে লিখা তাই কী আর মুছা যায় রাবার দিয়া?
সে তো বুঝে পেটের জ্বালা, ঘরে এসে পায় কষ্টের মেলা, তাই তো সে দিন বা রাত বৃষ্টি বা রোদ এসব না দেখিয়া পায়ের পাতা দিয়া প্যাটেল মারিতে মরিয়া, তবে রাতের প্রহরে ঘুমের ঘরে টের পাই পরিশ্রমের যাতনা সে তো সান্তানা দেয় নিজেকে পায়ে লেগেছে পথের ধুলি কণা।
আমরা তো রাজার বেশে বসে থাকি রিক্সার সিটে, গন্তব্য পৌঁছে টাকা দড়িয়ে দেয় হাতে,আমরা কী বুঝি প্যাটেল মারার ব্যাথা?
টের কী পাই পায়ের পাতার টন-টন যন্ত্রণা?
যদি বুঝিতাম তবে চাচার বয়সি রিক্সাওয়ালা ভাই কে সম্মান দিতাম যথাযথ, পায়ের ধুলি ক্ণা আর শরীরের নুনা জলের মুল্য দিতাম ন্যায্য।
“হ্যা ভাই চলুন সমাজ কে পালটাই,
কর্মে কোন ধনী-গরিব নাই
সকল কর্মকে সম্মান জানায়”
————————–
কিশোরগঞ্জ সদর খিলপাড়া
——-মাহমুদ নাঈম——–
Some text
ক্যাটাগরি: গল্প, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]