ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা আ”লীগের কমিটিতে সদস্য অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৯ অক্টোবর বুধবার বিকেলে হরিপুর উপজেলা আ. লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দলীয় নেতাকর্মীদের উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা আ. লীগের কার্যালয় ও তার আশপাশের বাজারগুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম এ আদেশ জারি করেন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, উত্তেজিত পরিস্থিতি সামাল দিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় হরিপুর উপজেলা আ. লীগের কমিটিতে থেকে ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল শুন্য পদগুলোতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
আ’লীগের কয়েকজন সদস্য জানান, গতকাল নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি করার পর ‘হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এঘটনায় বেশি করে বিক্ষুব্ধ হয়েছে অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
হরিপুর উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রিপন অভিযোগ করে বলেন, কমিটির কাউকে না জানিয়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন ১৭ জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করায় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
এবিষয়ে হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইম পুষ্প বলেন, “আমাদের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি- জামাতের মদতদানকারী লোকদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে সেইসব পদে বহাল করে এবং তাদেরকেও আজকের বর্ধিত সভায় চিঠি দেয়। এটা জানতে পেরে বাদপড়া ত্যাগী নেতাকর্মিরা বর্ধিত সভায় সেটা জানতে চাওয়ার জন্য গেলে এক পর্যায়ে এটাকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে।”
অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধাঃ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, আমরা আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে আ’লীগের বর্ধিত সভা ডেকেছিলাম। উপজেলা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন করেছে ও দলের শৃংখলা ভঙ্গ করেছে তারাই হঠাৎ অতর্কিত ভাবে লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা করে এবং দু’টি মোটরসাইকেল পুঁড়িয়ে দেয় ও পাটি অফিস ভাংচুর করে এবং চারজন নেতা গুরুত্বর আহত। আহতদেরকে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে এব্যাপারে এখনো থানায় অভিযোগ অভিযোগ করা হয়নি কাল অভিযোগ হতে পারে ।
হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, উপজেলা আ. লীগের কমিটি নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধলে কয়েকজন আহত হয় এবং ২টি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়, তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]