ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে তার লালমাটিয়ার কার্যালয়ে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। শুক্রবার দুপুরে পাগলা মিজানকে নিয়ে তার লালমাটিয়ার কার্যালয়ে আসে র্যাব সদস্যরা। এ সময় সেখানে কৌতুহলী মানুষদের ভিড় লেগে যায়। কার্যালয়ের ভেতর-বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তল্লাশি চালানো হয় তার অফিসে।
র্যাবের একটি বিশেষ টিম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গুহ রোডের হামিদা আবাসিক গেস্ট হাউজের সামনে থেকে মিজানকে আটক করে। র্যাব জানিয়েছে, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন মিজান। দেশ ছাড়ার উদ্দেশে চলে যান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের গুহ রোড এলাকায়। কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় মিজানের আনাগোনা দেখেছেন অনেকে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ভূইয়া পাগলা মিজানকে গ্রেফতারের বিষয়ে বলেন, ‘চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করা হয়েছে। তিনি দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আবদুস সালেক বলেন, ‘টিভি দেখে জানতে পেরেছি আমাদের এলাকা থেকে র্যাব ওই কাউন্সিলরকে আটক করে নিয়ে গেছে। তার এখানে অবস্থানের বিষয়ে বা র্যাবের অভিযানের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা ছিল না।’
চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ অংশ হিসেবেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা হাবিবুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। হত্যা, মাদকের কারবার,চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ মধ্যে হঠাৎ করেই লাপাত্তা হন ক্ষমতাসীন দলের নেতা মিজান। গত সোমবার রাতে মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোডে মিজানের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে আওরঙ্গজেব রোডে মিজানের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাড়িতে মিজান তার স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউকে নিয়ে থাকেন। গত সোমবার থেকে মিজান বাড়িতে নেই। ওইদিনই র্যাব এসে তাকে খুঁজে গিয়েছিল। মিজানের ছেলে মামুন বৃহস্পতিবার মামুন বাসা থেকে বের হয়ে যান। তিনিও ফেরেন নাই। শুক্রবার সকালে মিজানের স্ত্রীও বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন।
মোহাম্মদপুর এলাকায় জমিদখল, টেন্ডারবাজি, প্রভাব বিস্তারসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। তিনি মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে তটস্ত থাকেন সেখানকার বাসিন্দারা।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]