সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আদুরি গার্মেন্সের সামনে জ্বালমুড়ি বিক্রি করেন আলতাপ মিয়া। আলতাপ মিয়ার ছোট্ট একটি দোকান।দোকানের মালামাল বলতে-মুড়ি,চানাচুর, বুট,চিড়াভাজা,বিভিন্ন জাতের আচার ইত্যাদি।
দোকান ছোট্টহলেও আলতাপ মিয়ার জ্বালমুড়ির খ্যাতি রয়েছে পুরো এলাকায়।দোকানে সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকে।আলতাপ মিয়া মুড়ি বানিয়ে কূল পায় না।একজনকে দিতে দিতে আরো কয়েকজন এসে দাঁড়িয়ে থাকে।তবুও আলতাপ মিয়ার কোনো ক্লান্তি নেই।বিরামহীন দাঁড়িয়ে থেকে্ ঝমঝম শব্দের তালে তালে মুড়ি বানাচ্ছেন আর একজন করে বিদায় করছেন।
আলতাপ মিয়ার ছেলে- মেয়ে মিলিয়ে পাঁচজনের মাঝারি সংসার। মাসিক আায় বারো তেরোহাজার টাকা। এই অল্প টাকায় খুব সুখেই চলছে আলতাপ মিয়ার সংসার। সংসারে কোনো অভাব নেই।
এই অল্প টাকায় সংসার,ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা, বাসা ভাড়া কীভাবে সামলাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন- হালাল পথে চললে আল্লাহ এমনেই বরকত দেন।আমি জ্বালমুড়ির ছোট্ট একটা ব্যবসা করি। কিন্তু ব্যবসাটা ছোট হলেও, হালাল।
এ জন্যই অল্প টাকায় আল্লাহ আমার সব প্রয়োজন মিটায়া দেন। বাবা, আমি খুব সুখে আছি।আমার কোনো আফসোস নাই। বাকি জীবনটাও এইভাবে সৎপথে ব্যবসা কয়রা সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। বাবা আমার কোনো লোভ নাই। দুই’দিনের দুনিয়া, আইজ আছি কাইল নাই। লোভ কয়রা কী অয়বো কউতো বাজান। মরতে অয়বো না?
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]