কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে কিছুক্ষণ জিরিয়ে সামনে হাঁটতে শুরু করলাম। কিছুদূর এগিয়ে দেখি, রবি (সিম কম্পানি) সাধারণ যাত্রীদের জন্য হাত-মুখ ধুয়ার চমৎকার ব্যবস্হা করেছে। সাথে পানি খাওয়ার ব্যবস্হাও আছে। কেউ হাত-মুখ ধুইছে, কেউ পানি খাচ্ছে।
আমি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি সিরিয়ালের
জন্য। হঠাৎ লক্ষ করলাম, পাশে উন্নত বাথরুম। সাথে হাত-মুখ ধুয়ারও ব্যবস্হা। দারোওয়ান দাঁড়িয়ে আছে। কাওকে ঢুকতে দিচ্ছে না। যেই যাচ্ছে, তাকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ কী? খোঁজ নিয়ে জানলাম- এই বাথরুম সাধারণদের জন্য না, এসি টিকেট ওয়ালাদের জন্য। অর্থাৎ এলিট শ্রণীর জন্য। । তাদের জন্য সরকার মনোরম ব্যবস্হা করেছে। এখানে সাধারণদের জন্য যাওয়া হারাম! দীর্ঘ জার্নি করে ট্রেনথেকে নামার পর অনেকেরই প্রস্রাব-পায়খানার বেগ থাকে। সকলের জন্যই প্রস্রাব-পায়খানা করার ব্যবস্হা থাকা প্রয়োজন।
এখানে এলিট আর সাধারণদের মাঝে পার্থক্য করার তো কোন প্রয়োজন নেই। এখানে এলিটদের জন্য মনোরম ব্যবস্হা থাকবে, সাধারণদের জন্য থাকবে না। এটাতো স্পষ্ট বৈষম্য। এই বৈষম্যের জন্যইতো আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি। আমাদের পূর্ব পুরুষরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এখনো যদি সেই বৈষম্যই থাকে তাহলে তো এটাকে স্বাধীন দেশ বলা যায় না। স্বাধীনতা মানেই তো সবাই সমান। এখানে ধনী- গরীবের কোন পার্থক্য থাকবে না। সবাই সমান সুযোগ -সুবিধা ভোগ করবে।
বলার সময় তো জোর গলায় বলি- এটা স্বাধীন দেশ। এখানে সবাই সমান। কোনো ভেদাভেদ নেই। এখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। এই আছ, সেই আছে। মানে স্বাধীনতার কোনো অভাবই নেই।
যে দেশে টয়লেট নিয়েও বৈষম্য করা হয়,
এলিট-সাধারণ পার্থক্য করা হয়, সে দেশে স্বাধীনতা কতটুকু আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জুনায়েদ আহমেদ: শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]