দিন দিন আমরা কেমনজানি অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের চিন্তা-চেতনায় পশুত্ব গ্রাস করছে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় ধ্বংসাত্বক সংস্কৃতিকে গ্রহণ করছি। আমাদের রুচি-অভিরুচি বলতে কিছু নেই। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আমরা আমাদের ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ বুঝার বোধটুকুও আজ বিলুপ্তপ্রায়।
আমি প্রতি শনিবার প্রথম অন্ধকার (দ) পত্রিকা রাখি। এই শনিবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। রাতে পত্রিকা নিয়ে পড়তে বসলাম। পড়তে পড়তে শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমি বিস্মিত হলাম! বিজ্ঞাপনটা ছিল প্যানথার কনডম নিয়ে।
বিজ্ঞাপনের চিত্রটা ছিল এরকম -একটা পতিতা মেয়ে আরেকটা পতিতা পুরুষের গলায় প্যানথার কনডমের ছবি সংবলিত মেডেল পরিয়ে দিচ্ছে। এই চিত্র দ্বারা তারা কী বুঝাতে চেয়েছে, অনেকেই হয়তো তা বুঝেনি। তারা কনডমের ছবি সংবিলত মেডেল গলায় পড়িয়ে বুঝাতে চাচ্ছে- শাব্বাস বেটা শাব্বাস, আকাম কুকাম যায় করেছো কনডম লাগিয়েই করেছো। কোনো সমস্যা নেই, তুমি নিরাপদ, নিশ্চিন্ত। আর এজন্যই তুমাকে গলায় কনডমের ছবি সংবলিত মেডেল দেয়া হয়ছে।
এছাড়াও তারা একশ্রেণীর মানুষকে এই মেসেজটা দিয়েছে-যারা টেনশানে আছে,কোনসময় কী হয়ে যায় কে জানে! তাদেরকেও নিরাপদ পথ দেখিয়ে দিয়েছে। কনডমতো আমাদের সমাজে খুব লজ্জার বিষয় ছিল।
সচরাচর চোখেও পড়তো না। যারা ব্যবহার করতো তারা খুব গোপনে ব্যবহার করতো। এখন তো এক্কেবারে ইজি হয়েগেছে। টিভি পত্রিকায় সব জাগায় কনডমের বিজ্ঞাপন। আবার কনডম বিষয়ে সরকার খুব উদার। তাই কনডম সরকারীভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছ দিয়ে আসার জন্য লোকও নিয়োগ করে দিয়েছে সরকার।
এ রকম একটা নিকৃষ্ট বস্তু যখন সমাজে ইজি হয়ে যায়, সরকার যখন বাধ্যহয় তা ফ্রী বিতরণ করতে, তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না আমাদের সামাজিক অবক্ষয় কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
জুনায়েদ আহমেদ : শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]