কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রুকিশোরকে চিকিৎসার জন্য দশলাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুদান পেয়ে এন্ড্রুকিশোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
শুধু এন্ড্রুকিশোর না, এমন আরো অনেক কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা- অভিনেত্রীকে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি।
সমাজে আমরা অনেক গুণী ব্যক্তিকে দেখি- যারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারেন না। কিন্তু কী এক অদৃশ্য কারণে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুদান দেয়া হয় না।
আবার আমরা অনেক গুণী ব্যক্তিকে দেখেছি- যারা টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে না পেরে ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ডলে পড়েছেন। তাদের ভাগ্যেও রাষ্ট্রীও কোনো সহায়তা মিলেনি।
যেমন গত কয়েক মাস আগে কবি আল মাহমুদ টাকার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করতে পারেননি।
কবিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো সহযোগিতা তো করা হয়-ই নি উল্টো মৃত্যুর পর কবিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপমান করা হয়েছে।
প্রশ্নহলো-রাষ্ট্রীয় অনুদান নিয়ে এই বৈষম্য কেন?
যারা গান গেয়ে, অভিনয় করে সমাজকে কলুষিত করে, যুবসমাজকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দেয় তারা না চাইতেই পেয়ে যাবে লাক লাক টাকার অনুদান।
আর যারা সমাজকে আলোকিত করতে এবং যুবসমাজকে আলোর পথ দেখাতে সারা জীবন ব্যয় করেছে তাদের কোনো অনুদান না দিয়ে উল্টো রাষ্ট্রীয়ভাবে অপদস্ত করা হবে? এই দ্বিচারিতা মেনে নেয়া যায় না।
রাষ্ট্রীয় অনুদান যেকোনো দু্র্দশাগ্রস্ত ব্যাক্তি পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্যান্য বিষয়ের মত অনুদানের ক্ষেত্রেও দল নিয়ে টানাটানি করা সংকীর্ণতার পরিচায়ক।
আমরা চাই দলমত নির্বিশেষে যেকোনো দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়া হোক। অনুদান নিয়ে কোনো বৈষম্য যেন না হয়।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]