আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমার দিন। আগে জুমার দিনে হাট-বাজার, দোকানপাট, ঘরবাড়ি, বাস, ট্রেন সর্বত্র অন্যরকম আমেজ বিরাজ করতো।এদিন ঘরথেকে বেরহলেই বোঝাযেতো যে আজ শুক্রবার। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে জুমার দিনের সেই আমেজ।
আগে জুমার দিন সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ থাকতো। ধনী-গরিব, ছোট-বড়, নির্বিশেষে সবাই জুমার প্রস্তুতি নিতো। দিন দিন কমে যাচ্ছে জুমার সেই প্রস্তুতির দৃশ্য। বর্তমানে পবিত্র জুমার দিনকে একদল এলিট বিনোদনের জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে। তারা এই দিনে বিভিন্ন জায়াগায় ঘুরতে বের হয়।ফলে জুমার নামাজের কথা তারা বেমালুম ভুলে যান। আরেক দল দরিদ্র শ্রেণী,যাদের জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার কারণে পড়তে পারে না।
আজকে জুমার নামাজের দশ-পনের মিনিট আগেও অনেক হোটেল, চা’স্টল খোলা ছিল। কাস্টমারও ছিল প্রচুর। অনেককে দেখা যায়, ধূমায়িত চা’য়ে চুমুক দিয়ে টিভিতে পতিতা নারী-পুরুষের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। একজন হোটেল শ্রমিকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, জুমার নামাজ পড়া হয় কি না। তিনি জানালেন, প্রায় আড়ায়মাস ধরে জুমার নামাজ পড়া হয় না! যে ব্যক্তি আড়ায়মাস ধরে জুমার নামাজ-ই পড়ে না, তার ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়ার তো প্রশ্নই আসে না।
আবার অনেকেই জানান-তারা নামাজ পড়তে চান, কিন্তু নামাজের সময়েও দোকানে কাস্টমার থাকায় মালিক তাদেরকে ছুটি দেয় না।এজন্য তারা মালিকের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুক্রবারে সরকারী ছুটি থাকলেও অনেক মালিক তা মানেন না।শুক্রবারেও সারাদিন দোকান খোলা রাখেন। ফলে অনেক দরিদ্র শ্রমিক জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জুনায়েদ আহমেদ : শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]