বেকার বন্ধুরা কয়েক দিন যাবত শুধু ডাল দিয়েভা ত খাচ্ছে। বাজার করার টাকা নেই। আজ সকালে সবাই খেতে বসেছে। সামনে একটা কড়ায়ে ডাল, আরেকটা পাতিলে গরম ভাত।
নাজমুল সবার প্লেটে বেড়ে দিচ্ছে। দেয়া শেষে নাজমুল, শামসু খেতে শুরু করেছে। ফরিদ প্লেটে ভাত নিয়ে বসে আছে। খাচ্ছে না। নীচ দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছে। হঠাৎ বলে উঠলো, শুধু ডাল দিয়া কি ভাত খাউন যায়?
ফরিদ কথা শেষ করতে না করতেই নাজমুল বলে উঠলো, তাও তো কম খাছ না! দুঃখের মাঝেও নাজমুলের কথা শোনে ফরিদ হেসে উঠলো। ফরিদের কষ্টমাখা হাসি দেখে নাজমুল, শামসুও হো হো করে হাসতে থাকলো।
অনেক কষ্ট করে ফরিদ একটা কাজ জোগাড় করেছে। তাও আবার প্রতিদিন কাজ থাকে না। একদিন কাজ করলে দুই দিন বসে থাকতে হয়।
ফরিদ কয়েক দিন ধরে এই কাজটা করছে। যে কয়দিন কাজ করেছে পনের তারিখে বেতন দেয়ার কথা। কিন্তু দিচ্ছে না। আজ না, কাল। দেই, দিবো, দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে। অথচ ফরিদের টাকাটা খুব দরকার। বাড়িওয়ালা তিন ধরে ঘুর ঘুর করছে বাড়ি ভাড়া দেয়ার জন্য। শামসুর কাছেও টাকা নেই। ফরিদ কয়েক দিন কাজ করেছে, কিছু টাকা পাবে। এটাই ভরসা। তাও আবার কবে পাবে কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে গতকাল রাতে বাড়িওয়ালা এসে বলে গিয়েছিল, আজকে সকালে আসবে। বাড়ি ভাড়া রেডি করে রাখার জন্য। ভাড়া রেডি করে রাখবে কোত্থেকে? ফরিদ বেতন তো পায়নি। কিন্তু বাড়িওয়ালাকে আজকে কী বলবে। তিন দিন ধরে বাড়িওয়ালা ঘুরছে। আজকে তো আর না করা যাবে না। তাছাড়া লজ্জাও তো লাগে- একটা মানুষকে কয়দিন ঘুরানো যায়। ফরিদের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। ফরিদ সবাইকে বললো- চল বাড়িওয়ালা আউনের আগেই আমরা বাইর হইয়া য়ায়। সবাই ফরিদের কথায় সায় দিল। হ, ল এইডাই করি, এছাড়া আর কোনো পথ নাই।
জুনায়েদ আহমেদ: শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]