আজ শুক্রবার। সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। কখনো থামছে, একটু পর আবার শুরু।
শুক্রবার এলেই শরীরে অলসতা ভর করে। শুধু ঘুমাতে মন চায়। অবশ্য ছুটির দিনে ঘুমানোর মজাই আলাদা। সেদিনটা যদি বৃষ্টিময় হয়, তাহলেতো সোনায় সোহাগা।
এগারটার দিকে ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করলাম। অনেক দিন পর বৃষ্টিতে ভিজেছি। ছোটবেলা বৃষ্টি হলেই বাইর (মাছ ধরাড় যন্ত্র) নিয়ে বেরিয়ে যেতাম খেতের আইলে পাততে। কখনো পাড়ার ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতাম। আম্মা না করতেন। ঘর থেকে বের হয়ে পিছু পিছু ডাকতেন। আমি শোনতাম না। একদৌড়ে আম্মার দৃষ্টিসীমার আড়ালে চলে যেতাম। আজকে বৃষ্টিতে ভেজায় শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলো। আহা! সেই হারানো শৈশবে যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম,,,
আজান হয়ে গেছে। বৃষ্টি কমছে না। কিছুক্ষণ পর আরো বেড়ে গছে। রুমে ছাতাও নেই। আমি আর নাজমুল ভাই বসে বসে বৃষ্টি কমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া’ করছি- আল্লাহ! বৃষ্টি কমিয়ে দাও,,,
না, বৃষ্টি কমছেই না। চিন্তায় পড়ে গেলাম, আজকে কি জুমার নামাজ পড়তে পারবো না? মোবাইলে টাইম দেখলাম, একটার উপরে বাজে। বাসা থেকে মসজিদ একটু দূরে। নামাজ পড়তে হলে এখনি রওনা দিতে হবে। নিয়ত করলাম, আজকে বৃষ্টিতে ভিজেই নামাজে যাবো।
আমি গামছা নিলাম, নাজমুল ভাই নিলেন ভেজা লুঙ্গি। মাথায় গামছা দিয়ে আল্লার নাম নিয়ে দিলাম দৌড়। রাস্তায় দেখলাম, দু’জন লোক লেংটি মেরে কাজ করছে। তাদেরকেও নামাজের দাওয়াত দিলাম দৌড়ে থেকেই। আমার কথায় তারা কোনো ভ্রুক্ষেপ করলো না। খুব খারাপ লাগলো লোকদ্বয়ের কথা ভেবে। একটু সামনে এগুতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। দেখলাম, আমাদের মত আরো অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে জুমা পড়তে মসজিদে যাচ্ছে। ততক্ষণে মসজিদে পৌঁছে গেছি। শরীর অনেকটা ভিজে গেছে। আমি আর নাজমুল ভাই ভেতরে গিয়ে বসলাম। পুরো মসজিদ লোকেলোকারণ্য। ইমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছেন। আমরা শোনতে থাকলাম।
জুনায়েদ আহমেদ : শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]