সম্প্রতি বাল্যবিয়ে (বৈধবিয়ে) ঠেকিয়ে দেয়া নিউজ খুব ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।প্রায়ই দেখা যায়, অমুক ডিসি রাতের আধারে অমুকের মেয়ের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।মেয়ের বাবা এবং বরকে আর্থিক জরিমানাসহ দুইমাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম অন্ধকার (আলো) এই সমস্ত নিউজকে রঙচং মেখে ঘটা করে প্রচার করতে সিদ্ধহস্ত।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দেয়া মেয়েগুলো যখন ধর্ষণ বা কোনো ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়, তখন ওসি, ডিসি, প্রথম অন্ধকার কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায় না। বরং সুযোগ পেলে বাল্যবিয়ে বন্ধকারীরা উল্টো ধর্ষিতাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে।
কোনা মা-বাবা যদি বখাটেদের যন্ত্রণায় নিজের মেয়ের ইজ্জত, সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে বিয়ে দিতে চাই, এই বাল্যবিয়ে বন্ধকারীরা কীভাবে যেন টের পেয়ে যায়। বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দিতে তারা যতটা তৎপর, এই তৎপরতা যদি বাল্যপ্রেমের ব্যাপারে দেখাতেন, তাহলে আজ দশবছরের মেয়ের জারজ সন্তান জন্ম দিতে হতো না।বাল্যপ্রেমের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানকে লোক লজ্জার ভয়ে ডাস্টবিনে ফেলতে হতো না।
আজকে সকালে একটা নিউজ দেখে চমকে উঠলাম! শিরোনামটা ছিল এমন-দশ বছরের মেয়েটি সন্তানের মা’হলো, বাবা হলো না কেউ! মেয়েটি এখন ছেলের বাবার স্বীকৃতি চাচ্ছে, ছেলের বাবা স্বীকৃতি তো দিচ্ছেই না উল্টো মেয়ের পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে।
এখন কিন্তু বাল্যবিয়ে বন্ধকারীরা এই অসহায় মেয়ের পাশে নেই। কারণ, তারা এটাই চায়। এভাবে জারজ সন্ততান দিয়ে সমাজটাকে কলুষিত করতে চায়। এজন্যই তারা বাল্যবিয়ে বন্ধকরে, বাল্যপ্রেমে উৎসাহ দেয়।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]