বাবা! কত শত মুখের ছবি ভেসে ওঠে রোজ
আপন চক্ষু কোণে,
হেরিলে মুখ পাই না দেখতে
তোমার মত কাউকে।শুনতে পাইনা বাবা তোমার মুখের
সুরেলা বাণী,
উঠো! খোকা নামাজ পড়তে সময়
ঘনিয়ে এলো বুঝি।গগন ফাটিয়ে বজ্রাসন পড়লো
মাটিতে,
ফেরে চাওনি ছুঁটে চলছো আপন
কর্মে।দুই মুঠো ভাত মুখে দিয়ে ফোঁটাবে
মোদের মুখের হাসি,
ঝড় তুফান মাথায় নিয়ে
সাধ্য মোদের করতে পূরন।চায়ের দোকানের আশপাশ দিয়ে
হেটে সময় করতে পার,
শূন্য পেটে ফেরতে তুমি নিয়ে মুখে
হাহাকার।কত আদেশ অনুরাগে বলতে কত
কথা,
মানুষের মত হতে হবে মানুষ মনে
রাখো আশা।পড়ালেখা করে গড়বে জীবন তুমি
তোমার,
আছি আমি আজ, থাকবো না
হয়তোবা কাল।
বেঁচে রবে তুমি, করে তোমার
মতন।
থাকত শুধু তোমার সংস্পর্শ আর
থাকত শুভাশীর্বাদ।আজ হয়েছি বাবা অনেক বড় মানুষ
হতে পেরেছিই যা,
সব দরজা খুলে দেখি তুমি
বাবা নেই কোথা।বাবা হারিয়েছো তুমি তোমার আপন
গন্তব্যতে,
খুঁজি তোমায় বাবা দূর আকাশের
তারাদের মেলাতে।বাবা! কত শত মুখের ছবি ভেসে ওঠো রোজ
আপন চক্ষু কোণে,
হেরিলে মুখ পাই না দেখতে
তোমার মত কাউকে।
সংগ্রহে –
হাসনাইন আহমেদ হাওলাদার:ভোলা।
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]