বুধবার দুপুর ১২:৪২, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

এ দেশে পাবলিক সেক্টরেই দুর্নীতি বেশি

৭৬৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

এ দেশে প্রাইভেট সেক্টরগুলো ঘুষ দেয় বাধ্য হয়ে। আর পাবলিক সেক্টরগুলো ঘুষ খায়।কারণ তাদের ঘুষ না দিলে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর টিকে থাকাই কঠিন। তাই কিছু হলেই প্রাইভেট সেক্টরগুলোর দিকে আঙ্গুল না তুলে পাবলিক সেক্টরগুলো ঠিক করা উচিত।

আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছেলে মেয়ে বেশি মেধাবী না পাবলিক এর চেয়ে। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ থাকে বেশি। হ্যাঁ ভাই, আপনাদের এই মেধাবীগুলোই সরকারি চাকরিতে গিয়ে ঘুষ খায়। এদের হাতেই জিম্মি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ। অথচ প্রাইভেট সেক্টরে যারা কাজ করে, তারা অমানুষিক পরিশ্রম করে নির্দিষ্ট বেতনে জীবন চালায়।

এ দেশে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার প্রবণতা এতো কি নিজেদের মেধাবী প্রমাণ করার জন্য? কখনোই না। হাজারে একজন হয়তো মেধাবী হয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছা। বাকি সব উপরি পয়সার লোভ। লক্ষ্য করবেন, প্রাইভেট সেক্টরে জব করে এ দেশে কয়জন একটা ফ্ল্যাট এর মালিক হয়েছে অথচ পাবলিক সেক্টর এ গিয়ে দেখুন অনেকেই বাড়ির মালিক বনে গিয়েছে অথচ একদিন তার ঘরে দুবেলা চুলা জ্বলতো না।আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতো কথা বলি কিন্তু যতোদিন পাবলিক সেক্টর কে ঠিক করতে না পারবো ততদিন দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে আমাদের রক্ষা নেই।

আমরা কিছু হলেই বাংলাদেশ এর ব্যবসায়ীদের গালি দেই কিন্তু এই গালি প্রাপ্য সেই সরকারি অফিসার আর কেরানীদের যারা বকশিশ না পেলে ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে দেয় না। বাংলাদেশ এর ব্যবসায়িকরা যে কিভাবে কষ্ট করে এদেশে ব্যবসা করে তা যদি সবাই জানতো তাহলে তাদের গালি দেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করতো।

প্রতিবছর দুই ঈদ উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তারা যে পরিমাণ ঘুষ নেয় সারাবছর তাঁর তুলনায় কিছুই না। কেরানী থেকে শুরু করে সচিব, সরকারি ইন্জিনিয়ার কেউ বাদ নেই এই অপকর্ম করা থেকে। হাতে গোনা কিছু ব্যাক্তি সৎ হলেও বাকিরা ভয়াবহ টাইপের অসৎ। অথচ এদেশে রাষ্ট্রীয় যতো সুযোগ সুবিধা তা পাবলিক সেক্টরই বেশি ভোগ করে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যবসায়ী দের সন্তান দের চেয়ে সরকারি কর্মকর্তা দের সন্তানদের বিদেশে স্থায়ী হওয়ার প্রবনতা বেশি কারন এই কর্মকর্তারা জানে তাদের হাতে কিভাবে জিম্মি এদেশের অর্থনীতি। তাই এদের সন্তান রা ফিরে এসে নয় বাবাদের পথ অবলম্বন করে নয়তো বিদেশে স্থায়ী হয়ে যায়। আর ওখানে বসে বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত সেখানে কিছু হবেনা বলে গালি দেয়।এরা এদেশের সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে নিজেদের আখের গুছিয়ে বিদেশে বসতি গড়ে। তাই মেধাবী আর গরিব হলেই সেই ব্যাক্তি সৎ তা ভাবার কোন কারন নেই।

জান্নাতুল মাওয়া ড্রথি : কলামিস্ট

Some text

ক্যাটাগরি: চিন্তা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি