ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কালীকচ্ছ বাজার থেকে গলানিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরমে। প্রায় ৫ বছর ধরে এ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় পিচ, সুরকি, ইট উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল করায় রাস্তায় বিভিন্ন স্থান দেবে গর্তের সৃস্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি আটকে থাকে কয়েক দিন। এতে যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হয়। বিশেষ করে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে।
অনেক সময় পথচারী ও শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল,রিকসা, ইজিবাইক,মিশুক ও ভ্যান চলাচল একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালীকচ্ছ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও গলানিয়া গ্রামের হাজী আমির আলী জানান, কালীকচ্ছ-গলানিয়া এ রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও কালীকচ্ছ গ্রামের আবুল কাসেম তালুকদার বলেন, কালীকচ্ছ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলে অনুপযোগী। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদা পানিতে নোংরা হচ্ছে পথচারিদের পোশাক পরিচ্ছদ। সুস্থ মানুষেরা হয়ে পড়ছে অসুস্থ আর অসুস্থদের অবস্থা তো বলাই বাহুল্য। রাস্তাটি সংস্কার করা একান্ত জরুরী। কালীকচ্ছ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. রোকন জানান, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ পথচারি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, কৃষিজীবী মানুষের উৎপাদিত শাক-সবজি বহনকারী যানবাহন প্রতিনিয়ত চলাচল করে। বিশেষ করে এ রাস্তা দিয়ে স্কুল ও কলেজগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ইজিবাইক চালক সাজন মিয়া জানান, রাস্তায় গর্তের কারণে ঠিক মতো গাড়ি চালাতে পারি না।
সিএনজি চালিত অটো রিকশা চালক মনির মিয়া জানান, রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের জন্য যাত্রীরা আরামে গাড়িতে বসতে পারে না। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়। কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শরাফত আলী জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগণ যাতায়াত করছে ঝুঁকি নিয়ে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকভাবে জানানো হয়েছে। সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো.এমদাদুল হক জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান এলাকার জনগণের প্রতিনিধি। আবেদন পেলে রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখ মো.ইব্রাহীম : সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]