ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সরাইল থানার ওসি মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো ও ৩ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে। পূর্বশক্রতার জের ধরে আজ বুধবার ২টা ৩০মিনিটের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপাড়া গ্রামের মুন্সীবাড়ি ও কাইমুন্সী বাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া মোড়ে ডিজিটাল হাসপাতালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা নিয়ে গত সোমবার(৫আগস্ট) উচালিয়াপাড়ার মুন্সীবাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শামিম এবং কাইমুন্সী বাড়ির বাসিন্দা ও ডিজিটাল হাসপাতালের মালিক ইউনুছ মিয়ার ভাই ছাদেক মিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাদেক মিয়া ও তার লোকজন শামিম মিয়াকে মারধর করে আহত করে। এ খবরে শামিমের লোকজন স্থানীয় ডিজিটাল হাসপাতাল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ইউনুছ মিয়া বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আজ বুধবার সন্ধার পর স্থানীয়ভাবে শালিস সভা করে উভয় পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করার কথা ছিল। এ অবস্থায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন আজ বুধবার(৭আগস্ট) বিকালে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে সরাইল থানার নবাগত ওসি সাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। এ সময় সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন মুখমন্ডলে গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হন। তাৎক্ষনিক এএসআই শাহজালাল ও সঙ্গীয় পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন আহত ওসিকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘন্টাব্যপি চলমান সংঘর্ষে পুলিশ ব্যপক লাটিপেটা, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করেন। সংঘর্ষে ওসি সাহাদাত হোসেন, এসআই এনামুল ও ২জন কনস্টেবলসহ উভয় পক্ষের ২০জন লোক আহত হয়। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যপারে সহকারি পুলিশ সুপার(সরাইল সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন, পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সরাইল থানার ওসিসহ ৪জন পুলিশ আহত হয়েছেন। ৬রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]