১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।বিভীষিকাময় সেই দিনটির কথা মনে হতেই যেনো সাড়া শরীর ছমছম করে উঠে। চোখের সামনেই ভেসে উঠে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটির সিঁড়িতে লুটিয়ে পরে আছে বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র রক্তমাখা ক্ষতবিক্ষত নিথর দেহ।মনে হয় পুরো ধানমন্ডি জুড়ে ছিলো লাশের মিছিল আর কানে স্পষ্ট বাজে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলের কান্না।একবার কি ভাবা যায় কত বিভৎস ছিলো সে ভয়াল রাতটি? ঘাতকের বুনো উল্লাসে সেদিন বাংলার আকাশে বাতাস ছিলো বিষে বিষে বিষাক্ত,পিতা হারানোর আহাজারীতে সমগ্র বাংলাদেশ ছিলো মুহ্যমান অথচ এমনও দিনেও কেউ কেক কেটে পৈশাচিক আনন্দে নিজেদের মাতিয়ে তোলে।
লেখাটি শোকের মাঝে সুখের অবয়ব যারা ব্যবহার করেন তাদের উদ্দেশ্যে।শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শোকের আবহে পোস্টার কিংবা ব্যানার প্রকাশ করেন।কিন্তু আপনি কি আসলেই লক্ষ্য করছেন সেই পোস্টার কিংবা ব্যানারে আপনার কিংবা আপনার নেতার হাসিমুখের ছবিটা শোকের আবহের দিকটা উপস্থাপনে ব্যর্থ হচ্ছে?অনুরোধ করবো একটু সচেতন হোন,যথা সম্ভব নিজেদের ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।নিজের ছবি সংবলিত শোকের এই পোস্টার কিংবা ব্যানার প্রকাশ করে প্রচারণা না করে আমরা কি হারিয়েছি প্রকৃতপক্ষে সেটা উপলব্ধি করুন।
আপনার ছবি ব্যবহারের অনেক উপলক্ষ পাবেন, নিজেকে চেনানোর অনেক সুযোগ পাবেন অন্তত বুঝতে শিখুন শোকের এই পোস্টার কিংবা ব্যানারে আপনার হাসিমুখের ছবিটা বড্ড অযৌক্তিক কিংবা বেমানান। আপনার প্রচারণার মাধ্যমে বাংলার মানুষকে জানিয়ে দিন সেই অবিমৃষ্যকারীদের কথা,জানিয়ে দিন সেই সমস্ত হায়নাদের কথা,জানিয়ে দিন কারা এই লাল সবুজের বাংলাদেশকে পিতৃহারা করেছে,আপনারা জানিয়ে দিন কারা আমাদের পরিচয় কেড়ে নিয়ে আমাদের এতিম করেছে।আপনার প্রচারণায় জানিয়ে দিন কারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নৃশংস হত্যা করেছে,কারা নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলেকে বুলেটের আঘাতে বিদ্ধ করে হিংস্র উম্মাদনায় মেতেছে।নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে চেনান তবেই তারা বাংলদেশকে চিনবে।ইতিহাস থেকেই তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা নেবে পথভ্রষ্ট হওয়ার মতো কোন পথে কিংবা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রলোভনে যেনো প্রলোভিত নাহয় এই দিকে আপনার আমার এবং আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।
মোঃআরিফুর রহমান
কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৯/০৭/২০১৭
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]