বৃহস্পতিবার রাত ১১:৫৬, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

নালিতাবাড়ির হাসপাতালে ভোগান্তি

৫৮৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

নালিতাবাড়ী হাসপাতাল‌ের জেনারেটর নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি
.
বিদ্যৎ চলে গেলে মোমবাতি জ্বালিয়ে শৌচাগারে যেতে হয়। মাথার উপর পাখা থাকলেও ঘুর‌ে না। নার্সরা বলেন নষ্ট। রোগ নিরাময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও যদি কষ্ট করতে হয় তাহলে গরিব দুঃখিরা কোথায় যাবে। আক্ষেপ করে রোববার সকালে কথা গুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মহিরন বেগম(৪৬)।

তিনি উপজেলার যোগানিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। গত শনিবার থেকে ডায়াবেটিক ও শারীরিক অসুস্থ্যতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

শুধু মহিরন একা নয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা সকল রোগির অভিযোগ বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অন্ধকার হয়ে যায়। এতে নিজেদের টাকায় কেনা মোমবাতির আলোয় তাদের সব কিছু করতে হয়। তারা দ্রুত এ ব্যাপার‌ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাশার মাহমুদ জানান,দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ কমপ্লেক্সে জেনারেটর নষ্ট রয়েছে। জেনারেটরের চেয়ে একাধিক বার উদ্ধর্তণ কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্ত এখনো কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স,নার্স ও রোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় ৩১ শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১৪ সালে ১৯টি শর্য্যা বৃদ্ধি করে ৫০ শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের দুই টি পুরুষ ও দুটি নারী ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়া তিনটি ক্যাবিনসহ একটি অপরেশন থিয়েটার চালু রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধর‌ে হাসপাতালে জেনারেটর নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে কর্মরত নার্সরা একটি চার্জার লাইটের আলোতে তারা তাদের কাজ করেন। আর রোগিরা অন্ধকার দূর করতে মোমবাতি কিনে আলো জ্বালান। অসুস্থ্য রোগারি মোমবাতি নিয়ে শৌচাগারে যেতে নানা ভোগান্তির শিকার হন। এছাড়া একটি পুরুষ ও একটি নারী ওয়ার্ডে ২০টি বিছানা রয়েছে। এতে দুই কক্ষে ১২টি সিলিং পাখার স্থলে ১০টি পাখা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪টি পাখা ভালো আছে। বাকি সব পাখা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে ভর্তি হওয়া রোগিদের গরমে কষ্ট করতে হয়। রোগি ও কর্মরত নার্সরা দ্রুত স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জেনারেটর মেরামতের দাবী জানান। এছাড়া চারটি ওয়ার্ডে নষ্ট পাখা সচল করার দাবী জানান।

সন্নাসীভিটা গ্রামের আবদুর রফ তিনি ডায়রিয়া হওয়ায় গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তিনি বলেন । কিন্ত পাখা নষ্ট থাকায় এবং জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সারা হাসপাতাল অন্ধকার হযে যায়। এতে রোগি ও তাদেও স্বজনরা দারুণ অসুবিধায় পরেন। দ্রুত এর একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

সাবেক কাউন্সিলর কামরুজ্জামান জানান, কয়েক দিন আগে হাসপাতালে আমি তিন দিন ভর্তি ছিলাম। জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ভর্তি থাকা রোগিরা সবাই অন্ধকারের নানা কষ্টে পরেন। এছাড়া হাসপাতালে পাখা নষ্ট থাকায় রোগিরা নিরুপায় হয়ে কষ্টে ভোগ করতে হয়। তিন লাখ মানুষের একমাত্র হাসপাতালে দ্রুত জেনারেটর ও পাখা মেরামত করা প্রয়োজন।

জ্যেষ্ঠ নার্স বদরুন নাহার জানান,বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের একটি চার্জার দিয়ে কাজ চালাতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে জেনারেটর নষ্ট। ভর্তি থাকা রোগিরা মোমবাতির আলোয় চলতে হয়। একটা জেনারেটরের জন্য ভর্তি থাকা রোগি নার্সদের সবারি কষ্ট করতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমানের ল‌েবু তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি