ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির এখন বেহালদশা। দীর্ঘ দিন যাবত রাস্তাটির সংস্কার না করায় এ গ্রামে বসবাসকারী ও আশপাশের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশী মানুষের দুঃখের শেষ নেই। গ্রামের ব্যস্ততম এ রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে ভেঙে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা নিত্যদিন।
গ্রামের ভূক্তভোগী মানুষেরা জানান, ঘনবসতি এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। বছরের পর বছর যাবৎ জরাজীর্ণ রাস্তাটির সংস্কার করানো হচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে এই রাস্তা সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দিয়ে আসলেও বাস্তবে কোনো প্রতিফলন নেই। খানাখন্দের কারণে বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে কোন চালক যান চালাতে চান না। গ্রামের মানুষ প্রয়োজনে দ্বিগুন ভাড়া গুনে অটোরিকশা ও হালকা যানে মালামাল আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। সরাইল উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি ও গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুর রহমান (কানু) জানান, গ্রামের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা দেখলে দুঃখ হয়। এ রাস্তায় চলাচলে বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের সীমা নেই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রায়ই তিনি আলোচনা করেন বলে জানান।
গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. কায়কোবাদ জানান, রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী। গ্রামের বাসিন্দা মোছা. রাবিয়া বেগম জানান, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে রাস্তার জরাজীর্ণতার কারণে কোনো যান না পেয়ে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হয় কোলে তোলে ও কাঁধে করে। আরেক ভূক্তভোগী জানু বেগম জানান, রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে গ্রামের প্রসূতি মায়েদের দূর্ভোগের শেষ নেই।
এই গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী ও দাম্মাম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, নাড়ির টানে মাঝে মধ্যে প্রবাস থেকে তিনি দেশে ফিরেন ঠিকই, কিন্তু নিজ গ্রামের রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ে তার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয় না। তিনি আরও জানান, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে এতো উন্নয়ন, অথচ উপজেলা সদরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের রাস্তা বছরের পর বছর যাবৎ সংস্কার হয় না, এই দুঃখ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আশা করেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
শেখ মো.ইব্রাহীম : সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]