এখন সৌম্য বিকেল, খোলা বারান্দায়
দিনের শেষ, আলোটা উঁকি দেয়।
আমার হাতের নীল বলপেনটা
পেনস্টান্ডেই ছিলো। ওকে কিছুটা অস্থির
আর কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছে আজ
সময়ের বিষন্ন নিবেদন লিখার জন্য অধীর সে।
একটা সাদা কাগজের অপেক্ষায় বসে আছে!
ও কখনো ভালো লাগায়, কখনো মন্দ লাগায়,
অন্তহীন ব্যাখ্যা পেশ করে নিরবে।
মাঝে মাঝে অনিয়ম দেখলে কলমটা খবু বেশি
বেহিসেবি আচরণ শুরু করে। লিখতে হয় অনিচ্ছায়
অযাচিত বোধে আর ক্রোধে, তখন বলপেনটা
বড্ড বেয়াড়া কিছুতেই বুঝতে চায় না। ও নির্বাক হয়ে
প্রতিবাদের উত্তর খুঁজে। দিনান্তে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত লেখক।
কখনো লিখতে লিখতে অশ্রু ঝরে তবুও থামেনা
লেখার অন্তহীন গতি। কালো অক্ষরের শব্দ বিন্যাসে,
মিলে কিংবা অন্ত্যমিলে, লেখা হয় মনের আবেগে
তাড়িত বিবেক। প্রাত্যহিক কর্মে অবচেতনে নয়,
সুমতি ফিরে আসুক সচেতনে আপনমনে।
বলপেনটার অশ্রু ঝরে সঙ্গোপনে। সব বেদনা
ধুয়ে যায়, শান্ত লিখে যাওয়ায়।
যখন অবুঝ এ ধরণী ঘুমায় বেঘোর ঘুমে।
সিত্তুল মুনা সিদ্দিকা
কবি ও শিক্ষিকা
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]