একক কক্ষের এক চিলতে বাসা।
নতুন নিবাসে ওঠার পর থেকেই, কেন জানি
রাতের ঘুম পালিয়ে গেছে। মধ্যরাতে আমি চুপিচুপি
উন্মুক্ত ব্যলকনিতে পায়চারি করি৷ বাতাসের দাপটে
উড়ে চুল বার বার, রূপোলী চাঁদের আলো
জানালা দিয়ে এলো চুপিসারে। হেলান দিয়ে শান্ত নীল ঝলমলে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। ভবনের পাশে
দেবদারুটা আনত চোখে জিজ্ঞাসু মনে, সে আজ
অনল পিয়াসী! বিসাল অর্জুন গাছটা ঠায় দাঁড়িয়ে।
নতুন গৃহকক্ষের চারপাশে অজানা শতের মানুষের পদচারণা।
চারপাশে অনেক বড় বড় গাছগাছালি আর
সদলবলে বানরের এলোমেলো আসা যাওয়া।
রাস্তার ওপাশের করই গাছটার পাতাগুলো
থরে থরে সাজানো। ওর শাখায় শাখায় প্রতি রাতে
বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা এসে আশ্রয় নেয়।
এই চাঁদোয়া প্রহরে স্তব্ধতা ভেঙে ওরা কিচিরমিচির
করে ওঠে। এখন আমার ঘুম পালিয়েছে
আরো অনেক দূরে… আমি মনযোগ দিয়ে শুনি
ওদের স্বরের কী মাধুর্য! গভীর রাতে ওরা আপন ভঙ্গিতে
ডেকে কতো কি যে বলে! একে অন্যের সাথে
ভাব বিনিময়ের নিরন্তর মধুর প্রয়াস। এ মহাভূবন
বিধাতার অবিরত ইঙ্গিতে চলে। তাই রাতের আবহ
অসম্ভব সৌন্দর্য খুলে দিলো পরম করুণায়!
স্থান : বুদ্ধিজীবী হোস্টেল, নায়েম, ধানমন্ডি, ঢাকা।
সিত্তুল মুনা সিদ্দিকা : কবি, শিক্ষিকা
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]