লেখা এমন একটি আয়না, যেখানে ভেসে উঠে একজন লেখকের ব্যক্তিসত্তার জলছবি,রুচিবোধ, চিন্তা-চেতনা, অনুভব-অনুভূতি, আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আরো অনেক কিছু। তো একজন ভালো পাঠক মুগ্ধপাঠক হন, যখন কোনো ভালো লেখকের লেখা পড়েন বা অধ্যয়ন করেন। সে মুহূর্তে পাঠক সেই লেখার প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি বাক্যে, লেখকের একটি প্রতিচ্ছবি দেখতে পান বা দেখার চেষ্টা করেন।
লেখকের লেখাটি পড়ার সাথে সাথে, পাঠকের চোখের আয়নায় যেমন ঘটনার কল্পরূপ বা চিত্ররূপের একটি চিত্র ভেসে উঠে, ঠিক তেমনই পাঠক হৃদয়ে লেখকেরও একটি অঙ্কিত ছবি বা চিত্র ভেসে উঠে, যা একজন সফল লেখকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তো যেটা বলতে চাচ্ছিলাম, লেখার মধ্যেও আর্ট আছে, শিল্প আছে। একজন চিত্রকর যেমন তুলি দিয়ে দক্ষহাতে, সুনিপুণভাবে কারুকাজ করে তার চিত্রকর্মটি মানুষের সামনে ফুটিয়ে তুলেন, ঠিক তেমনি একজন দক্ষ লেখকও তার অব্যক্ত কথাগুলো, তার অনুভব-অনুভূতিগুলো কাগজের পাতায়, কলমের আঁচড় টেনে, শব্দমালায় প্রকাশ করেন। সুতরাং লেখার মধ্যেই ফুটিয়ে তুলুন নিজেকে একজন রুচিশীল, দায়িত্বশীল লেখক হিসাবে। নিজের মধ্যে বানান সচেতনাবোধ তৈরি করুন। শব্দপ্রয়োগে সচেতন হোন। বাক্যের কাঠামো-বিন্যাসে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন। বলায় ও লেখায় ইংরেজি শব্দের ব্যবহার বর্জন করুন।
আমীর হামজা : কাতার প্রবাসী
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা
[sharethis-inline-buttons]