গত ১৯ জুন থেকে টানা পাঁচদিন অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ শেষে আগামী ২৫ জুন মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দিয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন। এছাড়া বিকল্প হিসেবে ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ফেরি আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সেতুটি চালু করতে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ অযৌক্তিক বলছেন অনেকেই। তাছাড়া সেতুটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তা সত্ত্বেও এটি পুনর্নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি দায়িত্বরত ব্যক্তিগণ। এতে সরকার ও সংশিষ্ট বিভাগ জনগণের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে এ পথে আনা-নেওয়া করা দেশের শিল্পখাত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সেতু কীভাবে কয়েক বছর ধরে জোড়াতালি এবং তালির উপর তালি দিয়ে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুরের তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এর ফলে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে রক্ষার জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয় সওজ বিভাগ। যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়।
তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বিকল্প সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বেইলি সেতু স্থাপন কাজ শেষে বাস চালাচল করার জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলোকে সেতু পারাপার হতে হবে। আর বেইলি সেতুতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প হিসেবে ফেরি রাখা হবে। ছয়-সাতদিনের মধ্যে ফেরি চলে আসবে।
সায়মন ওবায়েদ শাকিল : বিশেষ প্রতিনিধি
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]