লেখকের কলম ও ক্বালবের সংমিশ্রণে যে লেখা কাগজের বুকে কলমের ডগা দিয়ে টপটপ করে ঝরে পড়ে, সে লেখা পাঠক-মনে অনেক রেখাপাত করে, অনেক প্রভাব বিস্তার করে। তাই আমরা যারা দ্বীনের দায়ী, তাদের লেখাগুলো যেন দিলের দরদে ভিজে কলম ও ক্বালবের খুনে মিশে কাগজের পাতায় শব্দমালায় শব্দফুল হয়ে ফুটে উঠে সেদিকে আমাদের একটু যত্নবান হওয়া উচিৎ এবং কর্তব্য। কারণ লেখা ও লেখনীর একটি অদ্ভূত শক্তি আছে, প্রভাব আছে। আছে এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, যা পাঠক মনে সংক্রমিত হয়। যার কারণে পাঠকের অজন্তেই পাঠক-মনে সেই লেখা ও লেখকের প্রতি এক অন্যরকম প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়!
ফলে সে এক সময় দাবি করে, আমি তো এই লেখকের একজন বড় ভক্ত এবং তার লেখার একজন মুগ্ধপাঠক। কেউ সেই লেখা বা লেখক সম্পর্কে কোন মন্তব্য করলে সে সাথে সাথে এর প্রতিবাদ করে। কারণ কি? ঐ যে সেই প্রেম ও ভালোবাসা। হোক না সে লেখা পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত কিংবা কালিমা-কলুষতা যুক্ত, যে লেখা পড়ে রুচি নষ্ট হয়ে যায়, চিন্তা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফল হিসাবে সে এক সময় হয়ে যায় কঠিন ও চরম মুক্তমনা, নাস্তিক!
তাই আসুন আমরা দ্বীন প্রচারের জন্য সুন্নতের নিয়তে, বাংলাভাষা ও সাহিত্য চর্চা করি, অধ্যয়ন করি। অশুভশক্তির হাত থেকে মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য, শক্তহাতে কলম ধরি, এবং বাংলার ভাষার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজী শব্দ ব্যবহার বর্জন করি, বাংলিশ লেখাকে ঘৃণা করি, কারণ যারা এটা করে আমি মনে করি, এরা বাংলা ভাষার শত্রু,এদের অন্তত ভাষাদিবসে,ভাষাশহীদদের স্বরণে শহিদ মিনারে না যাওয়াই উচিৎ।
কিন্তু আফসোস! এরাই আবার… আমি বলছি না যে ইংরেজি ভাষা লিখবেন না বা পড়বেন না। বলছি ইংরেজি বললে শুধুই ইংরোজী বলুন, বা লিখলে শুধুই ইংরেজী লিখুন, কিন্তু বাংলার ফাঁকা ফাঁকে মুখ বাঁকা করে, থ্যাংকিউ, সুমাচ! সো নাইস! বিউটিফুল ইত্যাদি কিন্তু কেন ভাষার প্রতি এমন অনাচার,?এতো অত্যাচার,? আমার মায়ের ভাষায় কি এই ভাব ও মর্ম ব্যক্ত করার কোন শব্দ নেয়! যদি থাকে তাহলে কেন এতো অবহেলা?
তাই এগুলো বর্জন করুন, বাংলাকে বাংলা ভাষায় লিখুন, ইংরোজী বর্ণে নয়, যদি আপনি বাংলা ভাষার শত্রু না হন তাহলে এটা করুন। বাংলিশ লেখা ও বাংলার ফাঁকে ফাঁকে বাংলিশ বলার এই চেতনা মন থেকে চিরতরে মুছে ফেলুন । আল্লাহ আমাদের বাংলা ভাষাকে অন্যা ভাষার বিকৃতি থেকে হেফাজত করুন।
লেখক : আমীর হামজাহ
Some text
ক্যাটাগরি: চিন্তা, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]