বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি জমকালো ও আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২৩ জুন ৭০ বছরের পা রাখছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রাঙাতে চলছে নানা আয়োজন। ঘোষণা করা হয়েছে মাসব্যাপী কর্মসূচি।
কর্মসূচির শুরুতে রোববার (২৩ জুন) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন দলের নেতাকর্মীরা। শনিবার (২২ জুন) দলের দফতর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কর্মসূচির শুরুতে প্রথমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দলের বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তবে এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। অপরদিকে, এদিন সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন।
এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ধর্ম সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস. এম কামাল হোসেন ও মারুফা আক্তার পপি।
পরের দিন সোমবার (২৪ জুন) বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। প্রতিষ্ঠাবাষিকীর ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অন্যদিকে, দলটি প্রতিষ্ঠার স্মৃতি বিজরিত পুরান ঢাকার ঋষিকেশ দাস রোডের রোজ গার্ডেনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার ক্ষণটি স্মরণ করে বিকাল ৩টার দিকে রোজ গার্ডেন এই আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন নতুন দল গঠনের উদ্দেশে কাউন্সিলের আহ্বান করা হয়। ২৩ জুন বিকাল ৩টায় রোজ গার্ডেন থেকে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক হন টাইঙ্গালের শামসুল হক। আর দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।
পরে ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পরের বছর দলের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিব। দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নিবার্চিত হয়ে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের। পূর্ব পাকিস্তানের শোষিত নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে গড়ে উঠা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
কামরুল হাসান শান্ত : বিশেষ প্রতিনিধি
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]