বৃহস্পতিবার রাত ১০:৫৪, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

সরাইলে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা

১১১৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

সরাইলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানের ভাল ফলনের বুক ভরা আশা করছে কৃষকরা। গত কয়েক দিন আগের ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও এখনো ভালো ফলন পাবে এই আশায় বুক বেঁধে আছে সরাইলের কৃষকরা। তাছাড়া, ধানের বাজার নিয়েও কৃষকের মাঝে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পারলে যে তাদের লোকসান গুনতে হবে।

বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় টুকটাক কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। প্রতি মণ ধান ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালীকচ্ছ গ্রামের কৃষক শাহ আলম মিয়া জানান, ইরি চাষের শুরু হতে প্রতি বিঘা জমিতে ধানের চারা বাবদ চার’শ থেকে পাঁচ’শ টাকা। জমি চাষ করা আট’শ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, দিনমজুর বাবদ এক থেকে দেড় হাজার টাকা, পানি সেচ বাবদ দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, সার (ইউরিয়া,পটাশ), কিটনাশক বাবদ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ও কাটা-মাড়াই বাবদ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাই ধানের বাজার ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা মণ না থাকলে কৃষক লাভের মুখ দেখতে পারবে না।

জাহাঙ্গীর পাড়ার কৃষক ফজলু মিয়া জানান, ১ বছরের পত্তন নিয়ে আমি  ৯০শতাংশ জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। হিসাব করে দেখলাম জমিতে আমার প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ। ধানের ফলন হচ্ছে ২০ মণ। এত কম বাজারে ধান বিক্রয় করলে আমার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। শুরু থেকে আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের গাছ বেশ ভালই ছিল। কৃষকরা বলছেন, ধান বের হবার পর থেকে হঠাৎ করেই ব্লাস্ট রোগ আক্রমনে ধানের শীষ মরতে থাকে। বিভিন্ন কিটনাশক ছিটিয়েও তেমন কোন ফল পাওয়া যায়নি। ফলে ধানের ফলন নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দেয়। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সরাইল উপজেলায় ১৫হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে।

সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিরুল ইসলাম জানান, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এবার আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তা অর্জিত হবে বলে আশা করছি।

শেখ মোঃ ইব্রাহীম : সহসম্পাদক, দেশ দর্শন

 

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি